আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
505 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাতুহু,

সম্মানিত শাইখ,

১/ সব জায়গায় পড়ি যে নিজেকে বদলাতে হবে, এখুনি নিজেকে বদলানোর সময়; কিন্তু কিভাবে নিজেকে বদলাত হবে আর কি রকম চেঞ্জ আনতে হবে নিজের মধ্যে, কতটুকু ইমপ্রুভ করতে হবে, এগুলো বলে দেয়া থাকে না। আমাকে একটু প্লীজ বলবেন নিজেকে কিভাবে বদলাবো and নিজেকে কোন স্টেজে আনার চেষ্টা করবো?


২/ আখিরাত ও মৃত্যুর প্রস্তুতি কিভাবে নিবো? খুবই দুশ্চিন্তায় আছি এটা নিয়ে, কোনো ভাবেই বুঝতে পারছি না কিভাবে কি করবো? প্লীজ এটা নিয়ে ভালো কিছু বলেন।

৩/ নতুন দ্বীনের পথে আসা বোনদের কি রকম নসিহাহ দেয়া যায় যেটা তারা পালন করবে? নতুন করে দ্বীন, দুনিয়া, আমল, আখলাক কিভাবে সাজাবে?


জাজাকাল্লাহু খাইর শাইখ। আল্লাহ আপনাকে দুনিয়ায় ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুন। আমিন। দোয়া করবেন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) নিজেকে বদলানোর অর্থ হল, খারাপ থারাপ থাকলে ভালোর দিকে চলে আসা। এবং ভালো থাকলে আরো ভালোর দিকে চলে আসা। নেকির দিকে দৌড় দেওয়া। 

(২) মু’িমনের জন্য সর্বদা আখেরাতের প্রস্তুতি গ্রহণ করা তার একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। আখেরাতের প্রস্তুতির জন্য বর্তমানে গোনাহকে পরিত্যাগ করা অতীতের গোনাহের জন্য আল্লাহর নিকট তাওবাহ ও ইস্তেগফার করা এবং ভবিষ্যতে কোনো গোনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করা। 

(৩) নতুন দ্বীনে আসা বোনদের নসিহার ক্ষেত্রে এটা লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তাদের সামনে ইসলামকে সহজভাবে উপস্থাপন করা। ইসলামকে তাদের সামনে কঠিনভাবে উপস্থাপন না করা। রাসূল সা যখন হযরত মুআয ও হযরত আবু মুসা রাযি দ্বয়কে ইয়ামনের নও মুসলিমদের তা’লিম তারবিয়তের জন্য প্রেরণ করেন, তখন তাদেরকে নসিহত দেন যে, 

عَنْ سَعِيْدِ بْنِ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا وَأَبَا مُوسَى إِلَى الْيَمَنِ قَالَ يَسِّرَا وَلَا تُعَسِّرَا وَبَشِّرَا وَلَا تُنَفِّرَا وَتَطَاوَعَا وَلَا تَخْتَلِفَا
আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয ও আবূ মূসা (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ করেন ও আদেশ দেন যে, ‘লোকদের প্রতি কোমলতা করবে, কঠোরতা করবে না, তাদের সুখবর দিবে, ঘৃণা সৃষ্টি করবে না। পরস্পর একমত হবে, মতভেদ করবে না। (সহীহ বুখারী-৩০৩৮)
এক বর্ণনায় হযরত মু’আয ও হযরত আলী রাযি দ্বয়কে প্রেরণ করা হয়েছিল। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...