ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) নিজেকে বদলানোর অর্থ হল, খারাপ থারাপ থাকলে ভালোর দিকে চলে আসা। এবং ভালো থাকলে আরো ভালোর দিকে চলে আসা। নেকির দিকে দৌড় দেওয়া।
(২) মু’িমনের জন্য সর্বদা আখেরাতের প্রস্তুতি গ্রহণ করা তার একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। আখেরাতের প্রস্তুতির জন্য বর্তমানে গোনাহকে পরিত্যাগ করা অতীতের গোনাহের জন্য আল্লাহর নিকট তাওবাহ ও ইস্তেগফার করা এবং ভবিষ্যতে কোনো গোনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করা।
(৩) নতুন দ্বীনে আসা বোনদের নসিহার ক্ষেত্রে এটা লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তাদের সামনে ইসলামকে সহজভাবে উপস্থাপন করা। ইসলামকে তাদের সামনে কঠিনভাবে উপস্থাপন না করা। রাসূল সা যখন হযরত মুআয ও হযরত আবু মুসা রাযি দ্বয়কে ইয়ামনের নও মুসলিমদের তা’লিম তারবিয়তের জন্য প্রেরণ করেন, তখন তাদেরকে নসিহত দেন যে,
عَنْ سَعِيْدِ بْنِ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا وَأَبَا مُوسَى إِلَى الْيَمَنِ قَالَ يَسِّرَا وَلَا تُعَسِّرَا وَبَشِّرَا وَلَا تُنَفِّرَا وَتَطَاوَعَا وَلَا تَخْتَلِفَا
আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয ও আবূ মূসা (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ করেন ও আদেশ দেন যে, ‘লোকদের প্রতি কোমলতা করবে, কঠোরতা করবে না, তাদের সুখবর দিবে, ঘৃণা সৃষ্টি করবে না। পরস্পর একমত হবে, মতভেদ করবে না। (সহীহ বুখারী-৩০৩৮)
এক বর্ণনায় হযরত মু’আয ও হযরত আলী রাযি দ্বয়কে প্রেরণ করা হয়েছিল।