জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ইমাম রুকুতে গেলে রুকুতে যাওয়া,ইমাম রুকু থেকে উঠার সাথে সাথেই উঠা।
ইমামের সেজদায় যাওয়ার সাথে সাথেই সেজদায় যাওয়া।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - الْمَعْنَى - عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَلَا تُكَبِّرُوا حَتَّى يُكَبِّرَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَلَا تَرْكَعُوا حَتَّى يَرْكَعَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " . قَالَ مُسْلِمٌ " وَلَكَ الْحَمْدُ " . " وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَلَا تَسْجُدُوا حَتَّى يَسْجُدَ وَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعُونَ " . - صحيح
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম এজন্যই নিয়োগ করা হয়, যেন তার অনুসরণ করা হয়। কাজেই ইমাম তাকবীর বললে তখন তোমরাও তাকবীর বলবে। ইমাম তাকবীর না বলা পর্যন্ত তোমরা তাকবীর বলবে না। ইমাম রুকু' করলে তোমরাও রুকু' করবে। ইমাম রুকু' না করা পর্যন্ত তোমরা রুকু‘ করবে না। ইমাম ‘‘সামিআলাহু লিমান হামিদাহ্’’ বললে তোমরা বলবে, ‘‘আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ’’। মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছেঃ ‘‘ওয়া লাকাল হামদ’’। ইমাম সাজদাহ্ করলে তোমরাও সাজদাহ্ করবে। ইমাম সাজদাহ্ না করা পর্যন্ততোমরা সিজদাহ্ করবে না। ইমাম দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলে তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে। আর বসে আদায় করলে তোমরাও বসে আদায় করবে।
(আবু দাউদ ৬০৩,মুসনাদে আহমাদ (২/৩৪০)
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সেজদায় গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য হলেও পান,তাহলে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
তবে এইভাবে ইমামের রুকু থেকে উঠার অনেক পরে মুক্তাদির জন্য রুকু থেকে উঠা সুন্নাহর খেলাফ।