আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)

কারো নাম আব্দুর রহমান, আব্দুর রহিম,  আব্দুল বাতিন, আব্দুল খালিক্ব, আব্দুল হামিদ। এরকম আরোও আল্লাহর নামের আগে আব্দ লাগিয়ে মানুষের নাম রাখা হয়।

প্রশ্ন হলো, আমি যখন উপোরক্ত নাম যাদের আছে,,তাদের নাম বলতে গিয়ে যদি নিম্নোক্ত ভাবে ইচ্ছাকৃত ভুল করি, এতে আমার গুনাহ হবে কি?

নিম্নোক্ত---

আব্দুর রহমান এর = 'রহমান' যখন বলবো তখন রহমান এর ""বড়  হা""" এর জায়গায় """ছোট হা"" দিয়ে ''রহমান'' বলা।

আব্দুর রহীম এর = 'রহীম' নাম শারীফ যখন বলবো, তখন রহীম এর "বড় হা" এর জায়গায় যদি "ছোট হা" দিয়ে 'রহীম' বলা।

আব্দুল খালিক্ব এর = 'খালিক্ব" নাম শারীফ যখন বলভো, তখন "খালিক্ব" নাম শারীফের লাস্টে "বড় ক্বাফ" এর স্থলে "ছোট কাফ" দিয়ে বলা।

আব্দুল বাছিত এর = বাছিত নাম শারীফ যখন বলবো, তখন 'বাছিত' নাম শারীফের লাস্টে 'ত্ব' এর স্থলে 'তা' দিয়ে বলা।

আব্দুল হামীদ এর = "হামীদ" নাম শারীফ যখন বলবো, তখন 'হামীদ' নাম শারীফের 'বড় হা' এর জায়গায় 'ছোট হা' দিয়ে 'হামিদ' বলা।

উপোরক্ত বর্নিত ভুল গুলি,,  ইচ্ছাকৃত ভাবে করলে আল্লাহর নাম শারীফের চেইঞ্জ হবে তো অবশ্যই,,কিন্তু এতে গুনাহ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ- 
উপরোক্ত উসূলের ভিত্তিতে সমস্ত আসমায়ে হুসনার ব্যাপারে আ'মল করা হবে।যেহেতু এই জবাব উসূল দ্বারা লিখিত,অন্যদিকে প্রত্যেক নামের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো আলোচনা কোথাও পাওয়া যায়নি।বিধায় এ ব্যাপারে আমাদের আরো গবেষনা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।সম্ভব হলে এব্যাপারে বিজ্ঞজনদের নিকট থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।(ফাতাওয়ায়ে উসমানি-১/৫২)

আবদ আরবী শব্দ।যার অর্থ হল,গোলাম। উপরের সকল প্রকার আল্লাহর সিফাতি নাম সমূহের পূর্বে আবদ শব্দ যোগ করে কারো নাম রাখতে কোনো অসুবিধে নেই।যেমন, আব্দুল্লাহ,আব্দুর রহমান ইত্যাদি।তবে ডাকার সময়ে অবশ্যই আবদ যোগে পূর্ণ শব্দ দ্বারাই ডাকতে হবে।আবদকে ছেড়ে দিয়ে ডাকা যাবে না।হ্যা যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা যায়,যেমন উপরে বর্ণিত রয়েছে, সে সমস্ত নামের কাউকে আবদ ব্যতীতও ডাকা যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/463

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কেউ ইচ্ছাকরে আবদ শব্দ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ঐ সমস্ত সিফাত দ্বারা কাউকে ডাকে, তাহলে তার গোনাহ হবে। আর আবদ শব্দ যোগ ও বিয়োগে অর্থের পার্থক্য জানা সত্তেও যদি কেউ আবদ শব্দ বাদ দিয়ে কাউকে ডাকে, তাহলে তা শিরকের পর্যায়ভুক্ত হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...