আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

শরীয়ত সম্পর্কে অজ্ঞ্ ১৬ বছরের আমার বোন।

আজকে বললো,"ভাইয়া সূর্যকে আল্লাহ নাড়ান?" 

আমি বললাম, 'হ্যা'।

তারপরেই বোন সূর্যের দিকে তাকিয়ে আমাকে উঠে বললো,,"অউউউ, আল্লাহকে দেখা যাচ্ছে"" (না'উযুবিল্লাহ্)। (জানিনা সূর্যকে বলেছে কি না,,তবে সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলেছে"))

তারপর ১০ মিনিট পরে, আমি বোনের কাছ থেকে উপোরক্ত কথার ব্যাখ্যা চাইলাম!!!?

উত্তরে বোন বললো,,"আমি উপোরক্ত কথা এমনি এমনি বলেছি"

 

পরে আমি বোনকে বুজিয়ে বললাম,,"ওই সূর্য সৃষ্টি,এটা আল্লাহ নয়। আমরা কেউই আল্লাহকে দেখি নাই,,জান্নাত এ গিয়ে দেখবো""এভাবে আমি বুজালাম। 

কিন্তু বোনকে ঈমান নবায়নের জন্য আর বলি নাই। আপনাদের পরামর্শ নিয়ে বলবো। কিন্তু বোনকে তাওবা করিয়েছি আর যাতে না করে।

প্রশ্ন হলো :::  উপোরক্ত বোনের বর্ননা অনুযায়ী বোনের ঈমান চলে যাবার আশংকা আছে কি? বা ঈমান নবায়ন জরুর কি? 

 

(বি:দ্র: শরীয়ত এর জ্ঞান সমপ্ররকে অজ্ঞ। কিন্তু বোন পাগল নয়।))

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূলঃ
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বোন কাফের হয়ে যায়নি,তার ঈমান নবায়ন করতে হবেনা,খালেছ দিলে তওবাই যথেষ্ট।  
ভবিষ্যতে আর এহেন কথা বলবেনা। 

কাউকে কাফের বলা সংক্রান্ত ইসলামের বিধান অনেক কঠোর।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
   
عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك 

হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮} 

কত মারাত্মক হুশিয়ারী, তাই কাউকে কাফের, মুশরিক, নাস্তিক বলার ক্ষেত্রে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 222 views
...