জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে যদি মেয়েটি ইজাব/কবুল করে,তাহলে জোড়পূর্বক হলেও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
وإن أكره على النكاح جاز العقد الخ (الجوهرة النيرة، كتاب الإكراه-2/355، دار الكتاب-2/337)
সারমর্মঃ
যদি বিবাহের উপর জোড় করা হয়,বিবাহ হয়ে যাবে।
وإذا أكرهت المرأة على النكاح، ففعلت، فإنه يجوز العقد (الفتاوى الهندية-1/294)
সারমর্মঃ
যদি মহিলাকে বিবাহের উপর জোড় করা হয়,তারপর সে যদি বিবাহ করে,তাহলে এই বিবাহ ছহীহ।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
এখন সেই স্ত্রী ২য় স্বামীর সাথে খোলা করতে পারবে।
এক্ষেত্রে কাজীর সহায়তা নিতে পারবে।
,
ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা তার পিতা করবে।
যদি ঐ মহিলা নিজেই বৈধ পন্থায় হালাল ইনকা। করতে পারে,তাহলে তাই করবে।
অন্যথায় তার পিতা তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
পিতার পক্ষে যদি অসম্ভব হয়,তাহলে তার তার সন্তানাদী স্বাবলম্বি হলে তার ভরনপোষনের দায়িত্ব সন্তান পালন করবে।
ইবন মুনযির রহ. বলেন,
أجمع أهل العلم على أن نفقة الوالدين الفقيرين اللذين لا كسب لهما ولا مال واجبة في مال الولد
ওলামায়ে কেরাম এব্যাপারে একমত যে, সন্তান যদি সামর্থ্যবান হয় এবং মা-বাবা যদি গরিব হয় তাহলে তাঁদের জন্য খরচ করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব। (আল মুগনি ১১/৩৭৫)
আর যদি আর পিতামাতা সচ্ছল হয় কিংবা সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান না হয় তাহলে মা-বাবার ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে উত্তম হলো, কষ্ট হলেও যথাসাধ্য মা-বাবারও ভরণ-পোষণের খরচ চালিয়ে যাওয়া। (তাবঈনুল হাকায়েক ৩/৬৪, রদ্দুল মুহতার ২/৬৭৮)
এক্ষেত্রে সে শরীয়তের বিধান মেনে চাকুরী ব্যবসা ইত্যাদিও করতে পারবে।
এখন থেকে টাকা জমাতেও পারবে।