আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
381 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (65 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।


আলহামদুলিল্লাহ,স্বামী স্ত্রী উভয়েই দ্বীন সিরিয়াসভাবে পালন করে,তিন বছর ধরে নিয়ে হয়েছে একে অপরের ভালবাসা অত্যধিক,একে অপরকে ছাড়া কল্পনা করতে পারেনা।তারা আশা রাখে আল্লাহর নিকট যে দুনিয়া ও আখিরাতে একসাথে থাকবে ইন শা আল্লাহ।স্বামী স্ত্রী উভয়েই অল্পবয়স্ক।বাইশ বছর মত।এখন স্বামী যদি মারা যায়,স্ত্রীর বাবা মা যদি তাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়,আর স্ত্রী যদি এই ওজরে বিয়ে করতে না চায় যে তার পূর্বের স্বামীকে জান্নাতে পেতে চায়।এবং নিজের প্রাইভেট পার্ট অন্য কারো জন্য হালাল করে দিতে চায়না।সেক্ষেত্রে সেই বিবাহ কাযীর নিকট হতে খোলা তালাক করা যাবে কিনা? উল্লেখ্য স্ত্রীকে জোর করে কবুল বলানো এবং কাগজে সাইন করানো হয়েছে এমন অবস্থায়।

যদি বিয়ে ভাংগানো যায় সেক্ষেত্রে স্ত্রীর অর্থনৈতিক দায়িত্ব কার যেহেতু সে সারাজীবন বিধবা থাকতে চায়।এই কারণে কি স্ত্রী টাকা ইনকাম করতে পারবে? বা এখন থেকেই টাকা জমাতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে যদি মেয়েটি ইজাব/কবুল করে,তাহলে জোড়পূর্বক হলেও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

হাদীস শরীফে  এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

وإن أكره على النكاح جاز العقد الخ (الجوهرة النيرة، كتاب الإكراه-2/355، دار الكتاب-2/337)
সারমর্মঃ
যদি বিবাহের উপর জোড় করা হয়,বিবাহ হয়ে যাবে।   

وإذا أكرهت المرأة على النكاح، ففعلت، فإنه يجوز العقد (الفتاوى الهندية-1/294)
সারমর্মঃ
যদি মহিলাকে বিবাহের উপর জোড় করা হয়,তারপর সে যদি বিবাহ করে,তাহলে এই বিবাহ ছহীহ। 

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
এখন সেই স্ত্রী ২য় স্বামীর সাথে খোলা করতে পারবে।
এক্ষেত্রে কাজীর সহায়তা নিতে পারবে।
,
ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা তার পিতা করবে।
যদি ঐ মহিলা নিজেই বৈধ পন্থায় হালাল ইনকা। করতে পারে,তাহলে তাই করবে।
অন্যথায় তার পিতা তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
পিতার পক্ষে যদি অসম্ভব হয়,তাহলে তার তার সন্তানাদী স্বাবলম্বি হলে তার ভরনপোষনের দায়িত্ব সন্তান পালন করবে। 
ইবন মুনযির রহ. বলেন,

أجمع أهل العلم على أن نفقة الوالدين الفقيرين اللذين لا كسب لهما ولا مال واجبة في مال الولد

ওলামায়ে কেরাম এব্যাপারে একমত যে, সন্তান যদি সামর্থ্যবান হয় এবং মা-বাবা যদি গরিব হয় তাহলে তাঁদের জন্য খরচ করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব। (আল মুগনি ১১/৩৭৫)

আর যদি আর পিতামাতা সচ্ছল হয় কিংবা সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান না হয় তাহলে মা-বাবার ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে উত্তম হলো, কষ্ট হলেও যথাসাধ্য মা-বাবারও ভরণ-পোষণের খরচ চালিয়ে যাওয়া। (তাবঈনুল হাকায়েক ৩/৬৪, রদ্দুল মুহতার ২/৬৭৮)

এক্ষেত্রে সে শরীয়তের বিধান মেনে চাকুরী ব্যবসা ইত্যাদিও করতে পারবে।
এখন থেকে টাকা জমাতেও পারবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...