হযরত আনাস রাযি. বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
নাভীর নীচের চুলকে মুন্ডিয়ে ফেলা সুন্নত।তবে ঔষধ ব্যবহার করে পরিস্কার করা বা কেচি দ্বারা গোড়ায় কেটে ফেলারও অনুমোদন রয়েছে।
ইবনে হাজার আসক্বালানী রাহ বলেন,পুরুষ-মহিলা উভয়ের জন্য নাভীর নীচ মুন্ডানো সুন্নত।ইমাম নববী রাহ লিখেন,নাভীর নীচের চুলের ব্যাপারে পুরুষের জন্য মুন্ডানো এবং মহিলার জন্য উপড়িয়ে ফেলা উত্তম।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/৪৪৬)
নাওরাহ তথা চুল উপড়ানোর বিশেষ এক প্রকার ঔষধকে এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ الرُّمَّانِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا اطَّلَى بَدَأَ بِعَوْرَتِهِ فَطَلاَهَا بِالنُّورَةِ وَسَائِرَ جَسَدِهِ أَهْلُهُ .
যখন রাসূলুল্লাহ নাওরাহ ব্যবহার করার ইচ্ছা করতেন,তখন তিনি সতরে আওরাত থেকে নাওরাহ-কে লেপ্টানো শুরু করতেন।অতঃপর নাওরাহ লেপ্টানো চুলকে শরীর থেকে সরিয়ে ফেলতেন।এবং উনার শরীর অন্যান্য অংশের চুল পরিস্কারের দায়িত্ব পরিবারের কাছে ছেড়ে দিতেন।(সুনানু ইবনি মা'জা-৩৭৫১)
বিস্তারিত জানুনঃ