আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
588 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (20 points)
খলীফা সর্বদা কুরাইশ বংশের হবেন এ ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মধ্যে মতভেদ আছে কি? বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।

আর কুরাইশ বংশের জন্যই খিলাফত সংরক্ষিত রাখার কার্যকরণ ব্যাখ্যা করবেন, প্লিজ।

উসমানীয় খলীফারা কি কুরাইশ বংশের ছিলেন?

আর বর্তমানে (অবশ্যই ন্যায়ানুগভাবে) খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হলে এখনো কি কুরাইশ বংশের কাউকেই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে? এখন কুরাইশ বংশের মানুষদের আলাদাভাবে কিভাবে চেনা সম্ভব? এমনকি অনেক কুরাইশি-ই এখন অনারব। সবাই নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।

(আল্লাহ-ই সর্বোচ্চ বিধানদাতা এবং রাসূলের প্রদর্শিত নিয়মেই আমরা চলবো)
by
edited
এর সাথে আমি একটা প্রশ্ন করি, শাইখ, বংশলতিকা সংরক্ষিত না থাকলে শুধুমাত্র সম্ভাবনা আর ধারণার উপর ভিত্তি করে নিজেকে কুরাইশী দাবী করা যাবে কি?

আমার বংশ কুরাইশ থেকে আসার সম্ভাবনা আছে। আমার উপরস্থ প্রায় ১০ পুরুষ পর্যন্ত বংশলতিকা সংরক্ষিত ছিলো যারা সবাই কুরাইশী হওয়ার একটা চান্স আছে। তবে বংশলতিকা শুধু আমার আব্বুরই মুখস্ত ছিলো, দলীল-দস্তাবেজ নাই। উনি মারা যাওয়ার সাথে সাথে সেটাও হারিয়ে গেছে। এখন কি আমি নিজেকে কুরাইশী দাবী করতে পারবো? বা নামের শেষে 'আল কুরাইশী' লাগাইতে পারবো?

*আমার বংশ হলো 'মীর' বংশ। মীর বংশ হলো সাইয়্যেদ বংশের অংশ। এই সাইয়্যেদরা হলো আলী রা. এবং ফাতিমা রা. এর বংশধর অর্থাৎ কুরাইশী। তবে উপমহাদেশে আসার পর সাইয়্যেদরা সুলতানদের থেকে সম্মানস্বরুপ 'মীর' উপাধি পায়। তারপর থেকে তারা 'সাইয়্যেদ মীর' উপাধি ইউজ করত। পরবর্তীতে তাদের অনেকে..
by
"সাইয়্যেদ" বাদ দিয়ে নামের আগে শুধু 'মীর' ইউজ করা শুরু করে। এছাড়া কিছু নন-সাইয়্যেদও নিজেদের নামের আগে 'মীর' ইউজ করে। এখন আমি শিওর না যে, আমার বংশ 'সাইয়্যেদ মীর' না কি নন-সাইয়্যেদ। আমার পূর্ব ৮-৯ পুরুষের নাম আমি শুনেছি। তাদের সবার নামের আগে মীর আছে। যদিও আমার নামগুলা মুখস্ত নাই। এজন্য সম্ভাবনা আছে যে, আমরা হয়তো কুরাইশের অংশ। আবার আমার বাপ-চাচাদের দেখেছি বংশ নিয়ে অনেক গর্ব করতে। 

এখন আমি কি নিজেকে কুরাইশী দাবী করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
 عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ النَّاسُ تَبَعٌ لِقُرَيْشٍ فِيْ هَذَا الشَّأْنِ مُسْلِمُهُمْ تَبَعٌ لِمُسْلِمِهِمْ وَكَافِرُهُمْ تَبَعٌ لِكَافِرِهِمْ
 তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খিলাফত ও নেতৃত্বের ব্যাপারে সকলেই কুরাইশের অনুগত থাকবে। মুসলিমগণ তাদের মুসলিমদের এবং কাফিররা তাদের কাফিরদের অনুগত। (সহীহ বুখারী-৩৪৯৫)(ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৪ প্রথমাংশ)

قال النووي في شرحه لصحيح مسلم عند هذا الحديث : هذا الحديث وأشباهه دليل ظاهر على أن الخلافة مختصة بقريش، لا يجوز عقدها لأحد غيرهم، وعلى هذا انعقد الإجماع في زمن الصحابة، فكذلك من بعدهم . انتهى.
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় আল-মিনহাজ কিতাবে লিখেন, এই হাদীস এবং এর মত আরো যত হাদীস রয়েছে, সবগুলোর অর্থই হল যে, খেলাফত কুরাইশ গোত্রের জন্য বিশেষিত। কুরাইশ ব্যতীত ভিন্ন কারো জন্য খিলাফত জায়েয নয়। এবং এ কথার উপর সাহাবা যুগে ইজমা প্রতিষ্টিত হয়েছে। 

আল্লাহ কেন কুরাইশদেরকে এই ফযিলত দান করলেন, এর জবাবে বলা যায় যে, 
وَرَبُّكَ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ وَيَخْتَارُ ۗ مَا كَانَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ وَتَعَالَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ
আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। তাদের কোন ক্ষমতা নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তারা যাকে শরীক করে, তা থেকে উর্ধ্বে। (সূরা কাসাস-৬৮)

উসমানীয়রা কুরাইশদের মধ্য থেকে ছিল না। বরং তারা ছিল তুর্কি জাতি। বর্তমানে যদি খেলাফত প্রতিষ্টিত হয়, তাহলে এখনও কুরাইশরা খেলাফতের বেশ হকদার। কে কুরাইশ আর কে কোথায় আছে? তা খুজে বের করা তেমন মুশকিল না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...