ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ النَّاسُ تَبَعٌ لِقُرَيْشٍ فِيْ هَذَا الشَّأْنِ مُسْلِمُهُمْ تَبَعٌ لِمُسْلِمِهِمْ وَكَافِرُهُمْ تَبَعٌ لِكَافِرِهِمْ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খিলাফত ও নেতৃত্বের ব্যাপারে সকলেই কুরাইশের অনুগত থাকবে। মুসলিমগণ তাদের মুসলিমদের এবং কাফিররা তাদের কাফিরদের অনুগত। (সহীহ বুখারী-৩৪৯৫)(ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৪ প্রথমাংশ)
قال النووي في شرحه لصحيح مسلم عند هذا الحديث : هذا الحديث وأشباهه دليل ظاهر على أن الخلافة مختصة بقريش، لا يجوز عقدها لأحد غيرهم، وعلى هذا انعقد الإجماع في زمن الصحابة، فكذلك من بعدهم . انتهى.
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় আল-মিনহাজ কিতাবে লিখেন, এই হাদীস এবং এর মত আরো যত হাদীস রয়েছে, সবগুলোর অর্থই হল যে, খেলাফত কুরাইশ গোত্রের জন্য বিশেষিত। কুরাইশ ব্যতীত ভিন্ন কারো জন্য খিলাফত জায়েয নয়। এবং এ কথার উপর সাহাবা যুগে ইজমা প্রতিষ্টিত হয়েছে।
আল্লাহ কেন কুরাইশদেরকে এই ফযিলত দান করলেন, এর জবাবে বলা যায় যে,
وَرَبُّكَ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ وَيَخْتَارُ ۗ مَا كَانَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ وَتَعَالَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ
আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। তাদের কোন ক্ষমতা নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তারা যাকে শরীক করে, তা থেকে উর্ধ্বে। (সূরা কাসাস-৬৮)
উসমানীয়রা কুরাইশদের মধ্য থেকে ছিল না। বরং তারা ছিল তুর্কি জাতি। বর্তমানে যদি খেলাফত প্রতিষ্টিত হয়, তাহলে এখনও কুরাইশরা খেলাফতের বেশ হকদার। কে কুরাইশ আর কে কোথায় আছে? তা খুজে বের করা তেমন মুশকিল না।