জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো সন্তান যদি বালেগ হয়,স্ত্রীর খরচ চালানোর সামর্থ রাখে,বিবাহ না করলে গুনাহে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,সেক্ষেত্রে বাবা মা বিবাহ না করালে তারা গুনাহগার হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ سَعِيدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ قَالَا : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : مَنْ وُلِدَ لَه وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَه وَأَدَبَه فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إِثْمًا عَلٰى أَبِيْهِ
আবূ সা‘ঈদ ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির কোনো সন্তান (ছেলে বা মেয়ে) জন্মগ্রহণ করে, সে যেন তার উত্তম নাম রাখে। আর (উত্তম) আচার-আচরণ শিক্ষা দেয় এবং যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হয় তখন যেন তার বিয়ে দেয়। বয়ঃপ্রাপ্তির পর যদি বিয়ে না দেয় এবং ঐ সন্তান যদি কোনো পাপ করে, তবে ঐ পাপের বোঝা পিতার ওপর বর্তাবে।
(শু‘আবুল ঈমান ৮২৯৯,মেশকাত শরীফ ৩১৩৮)
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ؓ عَنْ رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ قَالَ : «فِى التَّوْرَاةِ مَكْتُوبٌ : مَنْ بَلَغَتِ ابْنَتُهُ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً وَلَمْ يُزَوِّجْهَا فَأَصَابَتْ إِثْمًا فَإِثْمُ ذٰلِكَ عَلَيْهِ». رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ
‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব ও আনাস ইবনুল মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূসা (আঃ)-এর ওপর অবতীর্ণ) তাওরাত কিতাবে লেখা আছে যে, যখন কারো কন্যা সন্তান বারো বছর বয়সে পৌঁছে, আর সে যদি তার বিয়ে না দেয়, আর তার দ্বারা যদি কোনো পাপকর্ম হয়, তবে ঐ পাপকর্ম পিতার ওপর বর্তাবে।
(শু‘আবুল ঈমান ৮৩০৩,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩১৩৯)
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু বাবা মার কোনো গুনাহ হবেনা।
কেননা তারা বিবাহ করানোর জন্য রাজি,সন্তানই রাজি হচ্ছেনা।
তাই এতে বাবা মার কোনো গুনাহ হবেনা।
★কন্যা বালেগ হওয়ার পর থেকে বিয়ে করার আগ পর্যন্ত সময়ে, যেসব গুনাহ করে তার জন্য বাবা মা গুনাহগার হবেন। এ কথার কোনো সত্যতা নেই।
,
হ্যাঁ যদি তার বিবাহের প্রয়োজন হওয়া সত্তেও বাবা মা বিবাহ না দেয়,সেক্ষেত্রে তার বিবাহ না করানোর ক্ষেত্রে সেসব গুনাহ হবে,সেসব গুনাহের তারাও ভাগীদার হবেন।