আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
450 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আস্সলামুয়ালাইকুম,
কোন দম্পতি পরিবারের অজান্তে গোপনে বিবাহ করল এবং এরপর ইউটিউবে সৌদি কিছু আলেমের বিবাহ সম্পর্কিত ভিডিও দেখল এবং তাদের মতামত অনুসারে জানলো যে অভিভাবক ব‍্যতিত গোপনে তাদের বিবাহ হয়নি। এটি জানার পর ছেলেটি বুঝল তাদের বিবাহ হয়নি। তাই সে তার স্ত্রীকে বললো বিষয়টির কথা এবং বললো, "আমাদের মধ্যে আজ থেকে কোন সম্পর্ক নেই। যদি কোনোদিন তোমার পিতা আমাদের বিবাহ দেন তবে আবার আমরা এক হবো ন‌ইলে আমাদের মধ্যে আর কোন সম্পর্ক থাকবে না।" (যেহেতু সে জানে তাদের বিবাহ শরীয়ত সম্মত নয়।)

কিন্তু তারপরও ছেলেটির মনে সংশয় (বিয়েটি আদৌ হয়েছে কিনা)  থাকার কারণে সে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে এক মুফতি সাহেবের সাথে কথা বলে এবং জানতে পারে হানাফী মাযহাবের মতে তাদের বিবাহ সহীহ।তাই ছেলে এবং মেয়েটি আবার নিজেদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর মত থাকতে শুরু করে।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে ছেলেটি যে মেয়েটি কে বলেছিল, "আমাদের মধ্যে আজ থেকে কোন সম্পর্ক নেই। যদি কোনোদিন তোমার পিতা আমাদের বিবাহ দেন তবে আবার আমরা এক হবো ন‌ইলে আমাদের মধ্যে আর কোন সম্পর্ক থাকবে না।" (যেহেতু সে জানে তাদের বিবাহ শরীয়ত সম্মত নয়।)"

উপরোক্ত বাক‍্যের ফলে কি তাদের তালাক হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হানাফি মাযহাব মতে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

সুতরাং আপনারা উভয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে আপনাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি উক্ত ছেলে মেয়ে বালেগ বালেগাহ হয়ে থাকে,হানাফি মাযহাবের হয়ে থাকে,বিবাহের সমস্ত শর্ত মেনে যদি বিবাহ করা হয়,
তাহলে তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।
এখন "সম্পর্ক শেষ" শব্দ বলার দ্বারা যদি তালাকের নিয়ত করে তাহলে তালাক হবে।
নতুবা তালাক হবেনা।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদের কথাই বুঝা যাচ্ছে,তাই এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
নতুন করে মোহরানা ধার্য্য করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।  

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
উত্তরের জন্য ধন্যবাদ শায়েখ,

আলাদাভাবে সে তালাকের কোন নিয়ত করেনি।সে বুঝেছে তাদের বিয়েই শুদ্ধ হয়নি, তাই সে এই কথা বলেছে। যদি বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে বুঝতো তবে এই কথা বলার প্রশ্নই আসে না। আর যদি সে ভাবে বিয়েই হয়নি তবে তো তালাকের নিয়তই থাকার কথা নয়। 
এক্ষেত্রেও কি তাদের মধ্যে উপরোক্ত বাক্য দ্বারা তালাক হয়ে যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...