আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,

২৬ মার্চ ২০২১ ঘটনার প্রক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি স্বনামধন্য মাদ্রাসার মিম্বার থেকে মাইকে ঘোষণা করে আওয়ামীলীগকে তাকফির করা হয়।

তখন আমার কলেজের এক সিনিয়র আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত মিথ্যা নিউজ শেয়ার করেন এতে আমি তাকে বলি এটা সত্য নয়।উল্লেখ্য তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।এবিষয়ে অন্য কাউকে বলার সময় আমি বলেছিলাম যে তিনিতো মুরতাদ হয়ে গেছেন তাকফিরের একটা শর্ত যে অজ্ঞতা না থাকা আমি সেটা জানতাম আর কথাটা যতবার বলেছি ততবারই এই বিষয়টা মাথায় এসেছে যে আসলেই কি তাকে মুরতাদ বলা যাবে কিনা কিন্তু অনেক বিজ্ঞ আলেম থেকে ফতোয়াটা আসাতে নিজের চিন্তাকে প্রাধান্য দেইনি।

আমি অনেকটা নিশ্চিত ভাবেই জানি যে তিনি ঈমান ভঙ্গ হবার বিষয়ে জ্ঞান রাখেন না! আর তাকফির বিষয়ে পড়াশুনার আলোকে (মানে আইওএমে আমাদের যা পড়ানো হয়েছে) এটাও এখন জানি এইরূপ অবস্হায় তাকফির করা যায় না।

এখন আমি কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5807 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
উক্ত লেখাটি দারুল উলূম দেওবন্দের মাসিক ‘দারুল উলূম’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গাজি আবদুর রহমান কাসেমির রচনার ছায়া অবলম্বনে লেখা হয়েছে এবং রেফারেন্সগুলোও সেখান থেকেই সংগৃহীত হয়েছে। মাসিক আল- ফাতেহ নামক অনলাইন একটি পত্রিকায় এ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিলো। আমরা সেখান থেকে সংগ্রহ করেছি----

ইসলামে কুফুর, কাফের ও কাউকে কাফের বলে ঘোষণা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি বিষয়। সমকালে বিষয়টি জনপরিসরে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। ক্ষুদ্র এই রচনাটিতে এ সংক্রান্ত সূক্ষ্ম ও জটিল আলোচনায় না গিয়ে এর সাধারণ ও প্রাথমিক কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হবে।

পরিভাষার সাথে শব্দমূলের একটা গভীর যোগাযোগ থাকে। সেটা ধরতে পারলে পরিভাষাটিকে গভীর থেকে বুঝা সহজ হয়। এ জন্য পারিভাষিক অর্থে যাওয়ার আগে শাব্দিক অর্থের দিকে একটু নজর দেওয়া যাক। আরবি ‘কুফরুন’ শব্দের মধ্যে ঢেকে দেওয়া, অকৃতজ্ঞতা করা ও আল্লাহকে অস্বীকার করার অর্থগুলো পাওয়া যায়।

পারিভাষিকভাবে কুফুরকে পরিচয় করাতে গিয়ে নানাজন নানা শব্দে একে উল্লেখ করেছেন। শব্দ ভিন্ন হলেও একটু গভীরভাবে দেখলে বুঝা যাবে মর্মগতভাবে সবগুলো আসলে একই অর্থ ধারণ করছে। যেমন, আল্লামা ইবনে হাজম রহ. বলেছেন : আল্লাহ তাআলার রুবুবিয়্যাতকে অস্বীকার করা, কুরআনুল কারীমে যে সকল নবীর নুওয়াত প্রমাণিত হয়েছে, তাদের কোন একজনের নবী হওয়াকে অস্বীকার করা, কিংবা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সকল বিষয় নিয়ে এসেছেন, সেগুলো থেকে এই অস্বীকারকারীর নিকট যেগুলো বিরাট দলের বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, তার কোন কিছুকে অস্বীকার করা; অথবা, এমন কোন কাজ করা, যার কুফুরী হওয়ার ব্যাপারে অকাট্য প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—এমন সব কিছুর জন্য আল্লাহ তাআলা ‘কুফরুন’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। (আল ফাসল ফিল মিলাল ওয়াল আহওয়া ওয়াননিহাল, ৩:১১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখন আপনি তাওবাহ এবং ইস্তেগফার করবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক। আমীন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...