আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
443 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আসসালামুয়ালাইকুম
https://ifatwa.info/1715/ এ যেই ৬ টি ক্ষেত্রে গীবতকে জায়েজ বলা হয়েছে, তার মধ্যে ৫ নং পয়েন্ট হলো "প্রকাশ্যে গোনাহ কারী বা বিদআতে অংশগ্রহণ কারীর গীবত করা।সুতরাং সে যা প্রকাশ্যে করবে সেটার গীবত করা জায়েয।তবে এছাড়া তার অন্যান্য দোষ নিয়ে আলোচনা করা জায়েয হবে না।"
যেহেতু আজকের সমাজে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই কোন না কোন প্রকাশ্য গোনাহতে লিপ্ত (এর মধ্যে অনেককেই গোনাহ জেনে ও মেনে নিয়েই বিভিন্ন উছিলায় গোনাহ করতে দেখা যায়), এর মাধ্যমে কি সমাজের প্রায় সকলের জন্যই সকলের ব্যাপারে এ জাতীয় গীবত করার সুযোগ হয়ে গেল না?

আমার বুঝের ভুল হয়ে থাকলে অনুগ্রহ করে যদি ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতেন...


জাযাকাল্লাহ

1 Answer

+1 vote
by (708,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
الخامس: أن يكون مجاهرا بفسقه أو بدعته. فيجوز ذكره بما يجاهر به، ويحرم ذكره بغيره من العيوب،
(পাঁচ)প্রকাশ্যে গোনাহ কারী বা বিদআতে অংশগ্রহণ কারীর গীবত করা।সুতরাং সে যা প্রকাশ্যে করবে সেটার গীবত করা জায়েয।তবে এছাড়া তার অন্যান্য দোষ নিয়ে আলোচনা করা জায়েয হবে না।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ কোনো প্রকাশ্য গোনাহ করলে এবং তার আলোচনা লোক সমাজে করার প্রয়োজন হলে তখন তার আলোচনা করার রুখসত রয়েছে। অযথা কারো আলোচনা করা জায়েয হবে না। কেননা এতে প্রথমত, আলোচনাকারীর অযথা সময় নষ্ট হবে। দ্বিতীয়ত, সমালোচিত ব্যক্তির মান ক্ষুন্ন হবে। অথচ কোনো মুসলমানের মানকে ক্ষুন্ন করার অধিকার কারো নাই। হ্যা, কারো গোনাহের আলোচনা করার প্রয়োজনিয়তা দেখা দিলে তখন শরীয়ত অনুমোদন দিবে। যদি সে প্রকাশ্যে ঐ গোনাহে লিপ্ত থাকে, এবং ধারাবাহিক করতে থাকে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
+1
শায়েখ, আমার কয়েকজন দ্বীনি ভাইদের মধ্যে ব্যাপারটা পড়ে কেউই ঠিকভাবে বুঝতে না পারাতে প্রশ্ন টা করতে হয়েছিল। ফাতাওয়াতে পাঁচ নং পয়েন্টে এই ব্যাপারটা এই প্রশ্নের জবাবের মতো ক্লিয়ার করে দিলে আশা করি পাঠকারীদের মধ্যে আর কনফিউশন সৃষ্টি হবেনা। 

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...