বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)নেককার স্বামী/স্ত্রী পাওয়া এবং সুস্থ সবল সন্তানের পিতা-মাতা হওয়া, বান্দার উপর আল্লাহ তা'আলার এক বিশেষ নেয়ামত।
পূর্ণ আগ্রহের সাথে তাকে সময় দিন।তাকে কখনো একা ছেড়ে দিবেন না।বরং সর্বদা তার সাথে লেগে থাকুন।তার সকল প্রকার পছন্দের জিনিষকে নিজের পছন্দ বানিয়ে তার সাথে সর্বদা থাকার চেষ্টা করুন।তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)
সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।এ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/295
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামী বদদ্বীন থাকার কারণে নামায রোয না থাকার কারণে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো অুসবিধে হবে না। তবে উনি যদি জেনে বুঝে মুখ দ্বারা কোনো কুফরি কালাম উচ্ছারণ করেন, তাহলে উনি কাফির হয়ে যাবেন। আবার নামায রোযা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, উনার হয়তো এগুলো মন থেকে বলছেন না। তাই আমরা এটাই বলব যে, আপনি আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে হকের পথে নিয়ে আসুন। নয়তো আপনার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। যখনই উনি এরকম আজে বাজে কথা বলবেন, তখনই আপনি সাথে সাথে তাকে কালেমা পড়িয়ে নিবেন, বা সে যখন আপনার নিকটবর্তী হতে চাইবে, তখনই আপনি তাকে কালেমা পড়িয়ে নিবেন। সে আপনার জন্য হালাল হয়ে যাবে। যদি সে কালেমা পড়তে অস্বীকার করে তাহলে তাকে ঈমান চলে যাওয়ার বিষয়টা বুঝিয়ে বলবেন।