আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।
স্বামী দ্বীনদার নয়। নামায, রোজা করে না। এমনকি কুরআনের বিভিন্ন আয়াত বা বিভিন্ন আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলে, রাসুলের (সা) জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এক কথায় ইসলামের বিভিন্ন রুলিং এর প্রতি বিদ্বেষ আছে। কিন্তু একেবারে আল্লাহ এর প্রতি অবিশ্বাসী বা নাস্তিকও না। বাসায় মেহমান আসলে তখন তাদের সাথে আবার নামাজ পড়ে।
স্ত্রী দ্বীনদার। পর্দা এবং সন্তানের দেখাশোনার জন্য উচ্চ শিক্ষিত হওয়া সত্বেও ঘরের বাইরে কাজ করে না। এখন এই রকম স্বামীর বিবরণ শুনে অনেক আলেমই বলেন যে এমন স্বামীর সাথে বিয়ে নাকি অটোমেটিক ভেংগে যায়। সত্যিই কি তাই হয়েছে?
কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম। স্ত্রীকে তার মা বাবা অথবা আত্মীয় স্বজনের কেউ গ্রহণ করবে না। সবাই শুধু বলে যে - মেনে নাও এটাই তাকদীর আর এভাবেই সংসার চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তো আলেমদের কথা অনুযায়ী এই বিয়ে যদি ভেংগে যায়, তাহলে স্ত্রী কি করবে? আলেমরা ফতোয়া তো দেন, কিন্তু সেই ফতোয়ার বাস্তবায়ন কিভাবে করবে সেটা নিয়ে সহায়তা কমই পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এই মেয়ের তো যাওয়ার জায়গা নেই। ইনকামও নেই যে ইচ্ছেমত কোথাও চলে যাবে। তার উপর বাচ্চা আছে, বাচ্চাকে এমন বাবার সাথে রেখে যেতে চায় না সে। কিন্তু বাচ্চার এবং নিজের খরচ চালানোর সুযোগও তার নেই। সে কি এই স্বামীর সংসারে থেকে দুয়া এবং নিজের উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে পরিপূর্ণ  ইসলামের দিকে স্বামীকে ডাকতে পারবে? নাকি স্বামীর সংসারে থেকেই ভেতরে ভেতরে চাকরী খুঁজে বের করবে এবং এরপর বাচ্চাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যাবে?
পরামর্শ চাই সম্মানিত আলেম।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1205 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
(১)নেককার স্বামী/স্ত্রী পাওয়া এবং সুস্থ সবল সন্তানের পিতা-মাতা হওয়া, বান্দার উপর আল্লাহ তা'আলার এক বিশেষ নেয়ামত।
পূর্ণ আগ্রহের সাথে তাকে সময় দিন।তাকে কখনো একা ছেড়ে দিবেন না।বরং সর্বদা তার সাথে লেগে থাকুন।তার সকল প্রকার পছন্দের জিনিষকে নিজের পছন্দ বানিয়ে তার সাথে সর্বদা থাকার চেষ্টা করুন।তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)

সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।এ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/295

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামী বদদ্বীন থাকার কারণে নামায রোয না থাকার কারণে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো অুসবিধে হবে না। তবে উনি যদি জেনে বুঝে মুখ দ্বারা কোনো কুফরি কালাম উচ্ছারণ করেন, তাহলে উনি কাফির হয়ে যাবেন। আবার নামায রোযা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, উনার হয়তো এগুলো মন থেকে বলছেন না। তাই আমরা এটাই বলব যে, আপনি আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে হকের পথে নিয়ে আসুন। নয়তো আপনার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। যখনই উনি এরকম আজে বাজে কথা বলবেন, তখনই আপনি সাথে সাথে তাকে কালেমা পড়িয়ে নিবেন, বা সে যখন আপনার নিকটবর্তী হতে চাইবে, তখনই আপনি তাকে কালেমা পড়িয়ে নিবেন। সে আপনার জন্য হালাল হয়ে যাবে। যদি সে কালেমা পড়তে অস্বীকার করে তাহলে তাকে ঈমান চলে যাওয়ার বিষয়টা বুঝিয়ে বলবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ খাইরান। 
যদি কারো স্বামী নাস্তিক হয়ে যায় তাহলে কি বিয়ে ভেংগে যাবে? বর্তমান সময়ে নাস্তিকদের এত পদচারণ সব জায়গায় যে অনেক প্র্যাক্টিসিং ভাইয়েরাও নাস্তিক হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে তাদের স্ত্রী সন্তানরা কি করবে? পরিচিত অনেকের পরিবারে এই সমস্যা। স্ত্রী দের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...