হাদীস শরীফে এসেছে
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।
(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯)
,
তাই কুরআন,কুরআনের যেকোনো আয়াত সম্বলিত কিতাব,লেখার সর্বোচ্চ সম্মান করা উচিত।
ولا تقعدوا علی مکان أرفع مما علیہ القرآن۔ (حیاۃ المسلمین ۵۴ إدارۃ إسلامیات لاہور بحوالہ: فتاویٰ محمودیہ ۳؍۵۲۹ ڈابھیل)
এমন জায়গায় তোমরা বসোনা,যেই জায়গা কুরআন থেকে উঁচুতে।
کرہ مد رجلیہ في نوم أو غیرہ إلیہا أو إلیٰ مصحف۔ (شامي، کتاب الصلاۃ / مطلب في أحکام المسجد ۱؍۶۵۶ کراچی)
وقال ابن حجر المکي: والأولی أن لا یستدبرہ۔ (الفتاوی الحدیثیۃ مطلب في
حکم مد الرجل للمصحف أو کتب العلم ۳۰۷ دار إحیاء التراث العربي بیروت)
সারমর্মঃ কুরআনের দিকে পা দেওয়া মাকরুহ।
চাই ঘুমের মধ্যে হোক,বা অন্য সময়ে হোক।
ইবনে হজর মক্কি রহঃ বলেন,উত্তম হলো কুরআনের দিকে পিঠ দেওয়াও যাবেনা।
(ক,খ)
এক্ষেত্রে শুধু তাফসির আর হাদীসের কিতাব যেনো পা সমপরিমান বা তার নিচে না থাকে,এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই কোনো সমস্যা থাকবেনা
সবচেয়ে উত্তম হয়, কাপড় ইত্যাদি দিয়ে সেই সেলফ ঢেকে রাখা।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এর দ্বারা আদবের খেলাফ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ
,
(গ)
না,এতে কোনো সমস্যা নেই।
আমাদের সমাজে সাধারণত মাদ্রাসা গুলোতে এটাকে আদবের খেলাফ মনে করা হয়না।
তবে কুরআন ঢেকে রাখলে ভালো হয়।