বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মিশনারি শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষাগ্রহণ করা নাজায়েয ও হারাম। তবে যদি কেউ শিক্ষাগ্রহণ করে নেয়,এবং ভবিষ্যতে এ শিক্ষার কুফল বা কুফরি মতবাদকে নিজের মধ্যে লালন না করে,এবং বাস্তবতায় এ কুফরি শিক্ষাকে প্রয়োগ না করে,তাহলে এ শিক্ষার সার্টিফিকেট দ্বারা চাকুরী করা কখনো নাজায়েয হবে না। তবে যে শিক্ষার মেধ্যে যেগুলো বৈধ সেগুলো অন্যদেরকে শিখানো যাবে।
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)(রদ্দুল মুহতার,১/৪২)
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শিক্ষকদের শিখানো বৈধ শিক্ষাকে প্রয়োগ করা নিষিদ্ধ নয়, বরং বৈধ শিক্ষাকে প্রচার ও প্রসার করা যাবে।