আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
https://ifatwa.info/19619/

এই ফাতওয়ায় ৩ নং প্রশ্নের উত্তর এ বলা হয়েছে যে বাস্তবতায় যদি সে শিক্ষা প্রয়োগ না করে। এখানে শিক্ষা বলতে কি বোঝা নো হচ্ছে তাদের নীতির শিক্ষা না শিক্ষকরা বই পুস্তকের পড়া বা পড়াশোনা করাবেন সে শিক্ষা?  যদি শিক্ষক দের বিভিন্ন বিষয় এর শিক্ষা বাস্তবে প্রয়োগ না করি তাহলে কি শিখবে? আর শিক্ষক রা ত সরকারের দেয়া বিষয় ই পড়াবে.

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/19619 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মিশনারি শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষাগ্রহণ করা নাজায়েয ও হারাম। তবে যদি কেউ শিক্ষাগ্রহণ করে নেয়,এবং ভবিষ্যতে এ শিক্ষার কুফল বা কুফরি মতবাদকে নিজের মধ্যে লালন না করে,এবং বাস্তবতায় এ কুফরি শিক্ষাকে প্রয়োগ না করে,তাহলে এ শিক্ষার সার্টিফিকেট দ্বারা চাকুরী করা কখনো নাজায়েয হবে না। তবে যে শিক্ষার মেধ্যে যেগুলো বৈধ সেগুলো অন্যদেরকে শিখানো যাবে।

https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)(রদ্দুল মুহতার,১/৪২)


১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শিক্ষকদের শিখানো বৈধ শিক্ষাকে প্রয়োগ করা নিষিদ্ধ নয়, বরং বৈধ শিক্ষাকে প্রচার ও প্রসার করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...