বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید) فقط واللہ اعلم
যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
1900
কালো টাকাকে শরয়ীভাবে সাদা করার কোনো উপায় শরীয়তে নেই।হ্যা কালো টাকা উপার্জনের দরুণ যে গোনাহ হয়েছিলো,সেই গোনাহকে ক্ষমা করিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে।এভাবে যে,যদি ঐ টাকার কোনো মালিক থাকে,তাহলে মালিকের নিকট পৌছিয়ে দেয়া হবে।যদি পৌছানো সম্ভব না হয়,তাহলে গরীব মিসকিনকে সদকাহ করে দেয়া হবে।এবং খালিছ নিয়তে কৃত অপরাধ সীমালঙ্ঘন সম্পর্কে আল্লাহ কাছে আহাজারী করে ক্ষমা চাইতে হবে।হয়তো আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সম্পদে যে পরিমাণ হারাম মাল রয়েছে,পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব করে প্রথমে সেই মালকে বের করতে হবে।তারপর মালিকের নিটক উক্ত মালকে ফিরিয়ে দিতে হবে।মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হলে অথবা উক্ত মাল সুদ থেকে হলে,সদকাহ করে দিতে হবে।যদি পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব করা সম্ভব না হয়,তাহলে অনুমান করে হলেও সেই মালকে বের করতে হবে।তারপর বিহিত ব্যবস্থা নিতে হবে।