আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
300 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (47 points)
edited by
আমাদের বাসায় কয়েক বছর ধরে 'তাফহীমুল কুরআন ' এই তাফসীর টি স্টোর রুমে পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে-

১. এই তাফসীর টা কি পড়া উচিত? শুনেছি যিনি লিখেছেন তাকে নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে আকীদা নিয়ে।??

২. যেহেতু অনেক বছর ধরে পরে আছে, আর ফেরত নেওয়ার সম্ভাবনা ও নাই। খুব সম্ভবত ইচ্ছা করেই রেখে গেছে স্টোর রুমে এবং জানিনা কে রেখে গেছে, তাই আমি কি এটা অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারবো?

৩. সর্বোপরি আমার করণীয় টা কী?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


আল্লাহ তা'আলা বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ

তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।

উক্ত আয়াতের ভাষ্য হল যে, আল্লাহ তা'আলা  রাসূলুল্লাহ সাঃ কে চারটি দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন।(১)তেলাওয়াতে কুরআন(২)আত্মসংশোধন(৩)কিতাব শিক্ষা প্রদান(৪)হেকমত তথা সুন্নত শিক্ষা প্রদান।

যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ এর এই চার দায়িত্বর অন্যতম দায়িত্ব হল, কুরআন শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব। সুতরাং এখান থেকেই কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অনায়াসেই বুঝে আসে।আল্লাহ আপনাকে এ মহান মাহাত্ম্যপূর্ণ সাবজেক্ট সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুক।

আলী সাবুনী দাঃবাঃ ইবনে তাইমিয়াহ রাহ এর উদ্ধৃতিতে তিবইয়ান নামক কিতাবে উল্লেখ করেন,যে ইবনে তাইমিয়াহ রাহ বলেন,
মানুষ ঐ গাধার মত,যার পিঠে রয়েছে,কুরআনে কারীমের বোঝা।কিন্তু সে ঐ কিতাবের বোঝা থেকে যেভাবে কোনো ফায়দা গ্রহণ করতে পারে না,ঠিক তেমন যেন এখন কার সময়ের লোকজন।তাদের হাতের নিকটে কুরআন,অথচ তারা কোনো প্রকার ফায়দা গ্রহণ করতে পারছেনা বা আগ্রহী হয় না।

উনি আরেকটি দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন,যেমন কোনো হাকে পানির গ্লাস থাকার পরও মানুষ তৃষ্ণাতুর হয়ে মারা যায়।ঠিক তেমন যেন বর্তমান সময়ের মানুষ।দিকহারা পথিকের মত ভবঘুরে অথচ হেদায়ত রয়েছে তার হাতের সামনে কুরআনে কারীমের মধ্যে।

সুতরাং কুরআনকে শুধুমাত্র তেলাওয়াত করলে কুরআনের হক আদায় হবে না।বরং সাথে সাথে সেখান থেকে জীবনের মূলটার্গেট কে অর্জন করতে হবে।আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুক।


কুরআন তরজমা শিখতে 
(ক)তাওযীহুল কুরআন কুরআন- বাংলা(মুফতী তাকী উসমানী)

কুরআনে কারীমের তাফসীর শিখতে 
(খ)মা'রিফুল কুরআন-বাংলা(মুহি উদ্দিন খান)

আরো জানুন- https://ifatwa.info/2248
,
(০১)
তাফহিমুল কুরআনের অনেক আলোচনা জমহুর আহলে সুন্নাত  ওয়াল  জামায়াতের মাসলাকের খেলাফ।
তাই সাধারণ ব্যাক্তিদের সেটি পড়া শোনার দ্বারা আকীদাগত ভ্রান্তিতে পড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে,তাই এর থেকে দূরে থাকাই আবশ্যকীয় । 
তবে উলামায়ে কেরামগন  যারা কুরআন  হাদীসের অগাধ পাণ্ডিত্যের  অধিকারী,তাদের এটি পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ৪/১৬২) 

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 19739 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
(০২)
হ্যাঁ বিক্রয় করা জায়েজ আছে।
,
(০৩)
করনীয় হলো কোনো বিজ্ঞ হকপন্থি আলেমের হাতে দিয়ে দেওয়া। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
অনলাইনে সাধারন মানুষের কাছে বিক্রি করলে কি গুনাহ হবে?
by
আরবী তো বুঝি না

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...