শরীয়তের বিধান হলো কুরআন কারীম তেলাওয়াত করে বা ছদকাহ করে ঈসালে ছওয়াব করা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن معقل بن يسار، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: اقرءوا يس على موتاكم.
মাকিল ইবনে ইয়াসার রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের মাইয়িতের জন্য সূরা ইয়াসীন পাঠ কর। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩১২১, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩০০২; মুসতাদরাকে হাকিম ১/৫৬৫)
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَضْحَى بِالْمُصَلَّى، فَلَمَّا قَضَى خُطْبَتَهُ نَزَلَ مِنْ مِنْبَرِهِ وأُتِيَ بِكَبْشٍ فَذَبَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ، وَقَالَ: «بِسْمِ اللَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، هَذَا عَنِّي، وَعَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ এর সাথে ঈদুল আযহায় নামাযে শরীক ছিলাম। যখন খুতবা শেষ হল। তখন তিনি মিম্বর থেকে নামলেন। তারপর তার কাছে একটি ভেড়া আনা হল। তারপর তিনি তা জবাই করলে নিজ হাতে। জবাইকালে বললেন, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার, এটি আমার এবং আমার ঐ উম্মতীর পক্ষ থেকে যারা কুরবানী করতে পারেনি। [আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮১০]
শায়েখ উসায়মীন রহঃ লিখেছেন,
فإذا أراد شخص أن يصلي ويجعل ثوابها لميته، أو يتصدق، أو يحج، أو يقرأ القرآن، أو يصوم، ويجعل ثواب ذلك لميته فلا بأس به.
ৃوسائر العبادات كالصدقة إذ لا فرق بينهما.
والنبي صلى الله عليه وسلم لم يرد عنه نص يمنع مثل ثواب هذه للميت، حتى نقول: إننا نقتصر على ما ورد، فإذا جاءت السنة بجنس العبادات فإنه يكون المسكوت عنه مثل المنطوق به، لاسيما وأن هذا ليس بنطق من الرسول صلى الله عليه وسلم، بل إنه استفتاء في قضايا أعيان، وإفتاء الرسول صلى الله عليه وسلم بأنه يجوز أن يتصدق الإنسان عن أمه لا يدل على أن ما سواه ممنوع.
নামায পড়ে বা সদকা করে বা হজ্ব করে অথবা কুরআন তিলাওয়াত করে কিংবা রোযা রেখে এর সওয়াব মৃত ব্যক্তিকে দান করতে কোনো অসুবিধা নেই।
এরপর তিনি সদকা সংক্রান্ত দুটি হাদীস উল্লেখ করে বলেন, অন্যান্য ইবাদত সদকার মতই, উভয়ের মধ্যে কোনো ফারাক নেই।
আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে এগুলোর ঈসালে সওয়াব অবৈধ হওয়ার সমর্থনে কোনো বক্তব্য নেই। এজন্য এ কথা বলা যাবে না যে, যে বিষয়গুলোর ঈসালে সওয়াবের কথা হাদীসে স্পষ্ট বর্ণিত হয়েছে, সেগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। সুন্নাহয় যেহেতু সাধারণ ইবাদতের কথা এসেছে তাই যেগুলো সম্পর্কে তা নীরব, সেগুলোর হুকুমও বর্ণিত বিষয়গুলোর মতই হবে। বিশেষত যখন এগুলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ থেকে ইরশাদ করেননি। বরং তাঁর কাছে নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার সমাধান জানতে চাওয়া হলে তিনি সমাধান দিয়েছেন। আর নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের সমাধান থেকে এটা কিছুতেই প্রমাণিত হয় না যে, এ ছাড়া অন্যগুলো অবৈধ। -মাজমূউ ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েলে ইবনে উসায়মীন ১৭/২৫৮
আরো জানুনঃ