বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
নামায রোযার সময়সূচী মূলত সৌরবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত বিষয়।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মুফতী আমীমুল ইহসান রাহ 'নামায রোযার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার' শীর্ষক একটি ক্যালেন্ডার তৈরী করেছিলেন।আধুনিক বিজ্ঞানের সহায়তায় পরবর্তীতে সৌরবিজ্ঞানে উন্নতি সাধিত হয়।তাই সঙ্গত কারণে পরবর্তীতে মুফতী আমীমুল ইহসান রাহ কর্তৃক রচিত ক্যালেন্ডারে কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করা হয়।আপনি যে অসঙ্গতি দেখতে পেয়েছেন বা পাবেন,এর একটা কারণ সেটাই যা আমি উল্লেখ করলা।তাছাড়া বিভিন্ন মাযাহাবের মতবেদের কারণে বিভিন্ন টাইমও দেখতে পাওয়া যায়।
যাইহোক, আমি ইফা কর্তৃক অনুদিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার কে অনুসরণ করার পরামর্শ দিবো।কেননা এটাই সবচেয়ে নিরাপদ বলে আপাত মমনে হচ্ছে।
চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারে যদি সতর্কতামূলক পাঁচ মিনিট পূর্বে সেহরীর টাইম লিখে দেয়া থাকে,তাহলে নিজ ইবাদতকে হেফাজত করার স্বার্থে সতর্কতামূলক পাঁচ মিনিট পূর্বেই খাবারদাবার শেষ করা ও উচিৎ ও জরুরী।
তবে যদি সঙ্গত কোনো কারণে দু-তিন মিনিট দেড়ী হয়ে যায়,তাহলেও রোযা হবে।কেননা পাঁচ মিনিট তো রিজার্ভ রয়েছে।যা প্রয়োজনের মূহুর্তে ব্যবহার করা হবে।কিন্তু পাঁচ মিনিট থেকে একটি মূহুর্তও আর ক্ষমাযোগ্য হবে না।