বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
নামাযের ওয়াক্তের আগে আছরের নামায পড়া জায়েয হবে না। বরং সময়মত যানবাহনে নামায পড়তে হবে।
এ সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে রাহমানিয়াতে(১/৩৪৮পৃঃ) সবিস্তারে বর্ণিত আছে,প্রয়োজনীয় অংশ নিচে উল্লেখ করা হচ্ছে......
এখানে তিনটি বিষয় জেনে রাখার দরকারঃ
১মঃ দাঁড়িয়ে নামায পড়া ।
২য়ঃ কিবলার দিকে মুখ রাখা ।
৩য়ঃ নিয়ম মুতাবিক রুকু-সিজদা সহ নামায পড়া । অর্থাৎ, ইশারায় রুকূ সিজদা না করা ।
যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে।
হানাফি মাযহাবে গ্রহণযোগ্য মতানুসারে আসর দুই মিছিলের পর পড়া মুস্তাহাব।তবে এক মিছিলের পর যদি কেউ পড়ে নেয় তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সাধারণত উত্তম হচ্ছে আসরকে দুই মিছিলের পর পড়া।(আহসানুল ফাতাওয়া ২/১১৩)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৭০৫
যেহেতু উত্তম হল,আসরের নামাযকে দুই মিছিলের পর পড়া।তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত নামায-রোযার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার দেখে নামায আদায় করবেন।অন্যান্য মাযহাবে এক মিছিলের সময় তথা আমাদের আসরের সময় থেকে এক ঘন্টা পূর্বে আসরের নামায আদায় করার কথা বর্ণিত রয়েছে।(শেষ)
(খ)
খাওয়ার আগে এতটুক পানি পান করা যাতে গলা ভিজে যায়,এবং খাবারের শেষে এতটুকু পানি পান করা যাতেকরে মুখ গলা পরিস্কার হয়ে যায়।এটাকে সুন্নত না বলে খাওয়ার আদব বলতে হবে।
(গ)
খাওয়ার সময় লবন খাওয়া সুন্নত নয়।
(ঘ) এগুলোর সুন্নত কোনো সময় নির্ধারিত হয়নি।তবে খেজুরের বেলায় বলা হয়েছে যে, সকাল খেতে।
(ঙ)
গোনাহ তরক করলে অটোমেটিক পড়া স্বরণে থাকবে।
(চ)
হাত তালি সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে।তবে হানাফি ফিকহ অনুযায়ী হাত তালি দেওয়ার কোনো বৈধতা নাই।