বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয।
চায় জীবিত মানুষের হোক বা মৃত মানুষের,চায় ব্যক্তির ব্যক্তিত্বর উসীলা হোক বা নেককাজের।সব-ই জায়েয।সকল প্রকার উসীলার সারমর্ম একটাই হবে।সেটা হল,যা উসীলা গ্রহণ করা হচ্ছে,তার উপর আল্লাহর যে বিশেষ রহম আর ফজল রয়েছে,তার উসীলা গ্রহণ করে করে দু'আ করা।কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিত্বের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে না। এরকম আকিদা-বিশ্বাস রেখে দু'আ করা শিরকের পর্যায়ভুক্ত।তবে উক্ত ব্যক্তির নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে।যেমন গুহায় আটকে যাওয়া তিন ব্যক্তি তারা তাদের নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে নাজাত পেয়েছিলো।
আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
وَعَنْ أَبِي عَبدِ الرَّحمَانِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عنهما، قَالَ : سمعتُ رسولَ الله ﷺ، يقول: «انطَلَقَ ثَلاثَةُ نَفَرٍ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حَتَّى آوَاهُمُ المَبيتُ إِلى غَارٍ فَدَخلُوهُ، فانْحَدرَتْ صَخْرَةٌ مِنَ الجَبَلِ فَسَدَّتْ عَلَيْهِمُ الغَارَ، فَقالُوا : إِنَّهُ لاَ يُنْجِيكُمْ مِنْ هذِهِ الصَّخْرَةِ إِلاَّ أنْ تَدْعُوا اللهَ بصَالِحِ أعْمَالِكُمْ . قَالَ رجلٌ مِنْهُمْ : اَللهم كَانَ لِي أَبَوانِ شَيْخَانِ كبيرانِ، وكُنْتُ لا أغْبِقُ قَبْلَهُمَا أهْلاً ولاَ مالاً، فَنَأَى بِي طَلَب الشَّجَرِ يَوْماً فلم أَرِحْ عَلَيْهمَا حَتَّى نَامَا، فَحَلَبْتُ لَهُمَا غَبُوقَهُمَا فَوَجَدْتُهُما نَائِمَينِ، فَكَرِهْتُ أنْ أُوقِظَهُمَا وَأَنْ أغْبِقَ قَبْلَهُمَا أهْلاً أو مالاً، فَلَبَثْتُ - والْقَدَحُ عَلَى يَدِي - أنتَظِرُ اسْتِيقَاظَهُما حَتَّى بَرِقَ الفَجْرُ والصِّبْيَةُ يَتَضَاغَوْنَ عِنْدَ قَدَميَّ، فاسْتَيْقَظَا فَشَرِبا غَبُوقَهُما . اَللهم إنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذلِكَ ابِتِغَاء وَجْهِكَ فَفَرِّجْ عَنّا مَا نَحْنُ فِيهِ مِنْ هذِهِ الصَّخْرَةِ، فانْفَرَجَتْ شَيْئاً لا يَسْتَطيعُونَ الخُروجَ مِنْهُ. قَالَ الآخر : اَللهم إنَّهُ كانَتْ لِيَ ابْنَةُ عَمّ، كَانَتْ أَحَبَّ النّاسِ إليَّ - وفي رواية : كُنْتُ أُحِبُّها كأَشَدِّ مَا يُحِبُّ الرِّجَالُ النساءَ - فأَرَدْتُهَا عَلَى نَفْسِهَا فامْتَنَعَتْ منِّي حَتَّى أَلَمَّتْ بها سَنَةٌ مِنَ السِّنِينَ فَجَاءتْنِي فَأَعْطَيْتُهَا عِشْرِينَ وَمئةَ دينَارٍ عَلَى أنْ تُخَلِّيَ بَيْني وَبَيْنَ نَفْسِهَا فَفعَلَتْ، حَتَّى إِذَا قَدَرْتُ عَلَيْهَا - وفي رواية : فَلَمَّا قَعَدْتُ بَينَ رِجْلَيْهَا، قالتْ : اتَّقِ اللهَ وَلاَ تَفُضَّ الخَاتَمَ إلاّ بِحَقِّهِ، فَانصَرَفْتُ عَنْهَا وَهيَ أَحَبُّ النَّاسِ إليَّ وَتَرَكْتُ الذَّهَبَ الَّذِي أعْطَيتُها . اَللهم إنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذلِكَ ابْتِغاءَ وَجْهِكَ فافْرُجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فيهِ، فانْفَرَجَتِ الصَّخْرَةُ، غَيْرَ أَنَّهُمْ لا يَسْتَطِيعُونَ الخُرُوجَ مِنْهَا. وَقَالَ الثَّالِثُ : اَللهم اسْتَأْجَرْتُ أُجَرَاءَ وأَعْطَيْتُهُمْ أجْرَهُمْ غيرَ رَجُل واحدٍ تَرَكَ الَّذِي لَهُ وَذَهبَ، فَثمَّرْتُ أجْرَهُ حَتَّى كَثُرَتْ مِنهُ الأمْوَالُ، فَجَاءنِي بَعدَ حِينٍ، فَقالَ : يَا عبدَ اللهِ، أَدِّ إِلَيَّ أجْرِي، فَقُلْتُ: كُلُّ مَا تَرَى مِنْ أجْرِكَ: مِنَ الإبلِ وَالبَقَرِ والْغَنَمِ والرَّقيقِ، فقالَ : يَا عبدَ اللهِ، لاَ تَسْتَهْزِىءْ بِي! فَقُلْتُ : لاَ أسْتَهْزِئ بِكَ، فَأَخَذَهُ كُلَّهُ فاسْتَاقَهُ فَلَمْ يتْرُكْ مِنهُ شَيئاً. الَّلهُمَّ إنْ كُنتُ فَعَلْتُ ذلِكَ ابِتِغَاءَ وَجْهِكَ فافْرُجْ عَنَّا مَا نَحنُ فِيهِ، فانْفَرَجَتِ الصَّخْرَةُ فَخَرَجُوا يَمْشُونَ»مُتَّفَقٌ عليهِ .
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের পূর্বে (বনি ইসরাঈলের যুগে) তিন ব্যক্তি একদা সফরে বের হল। চলতে চলতে রাত এসে গেল। সুতরাং তারা রাত কাটানোর জন্য একটি পর্বত-গুহায় প্রবেশ করল। অল্পক্ষণ পরেই একটা বড় পাথর উপর থেকে গড়িয়ে নীচে এসে গুহার মুখ বন্ধ করে দিল। এ দেখে তারা বলল যে, এহেন বিপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই যে, তোমরা তোমাদের নেক আমলসমূহকে উসিলা বানিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া কর।’ সুতরাং তারা সব সব আমলের উসিলায় (আল্লাহর কাছে) দোয়া করতে লাগল। তাদের মধ্যে একজন বলল, হে আল্লাহ! তুমি জান যে, আমার অত্যন্ত বৃদ্ধ পিতা-মাতা ছিল এবং (এও জান যে,) আমি সন্ধ্যা বেলায় সবার আগে তাদেরকে দুধ পান করাতাম। তাদের পূর্বে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও কৃতদাস-দাসী কাউকে পান করাতাম না। একদিন আমি গাছের খোঁজে দূরে চলে গেলাম এবং বাড়ী ফিরে দেখতে পেলাম যে পিতা-মাতা ঘুমিয়ে গেছে। আমি সন্ধ্যার দুধ দহন করে তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে দেখলাম, তারা ঘুমিয়ে আছে। আমি তাদেরকে জাগানো পছন্দ করলাম না এবং এও পছন্দ করলাম না যে, তাদের পূর্বে সন্তান-সন্ততি এবং কৃতদাস-দাসীকে দুধ পান করাই। তাই আমি দুধের বাটি নিয়ে তাদের ঘুম থেকে জাগার অপেক্ষায় তাদের শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকলাম। অথচ শিশুরা ক্ষুধার তাড়নায় আমার পায়ের কাছে চেঁচামেচি করছিল। এভাবে ফজর উদয় হয়ে গেল এবং তারা জেগে উঠল। তারপর তারা নৈশদুধ পান করল। হে আল্লাহ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য করে থাকি, তাহলে পাথরের কারণে আমরা যে গুহায় বন্দী হয়ে আছি এ থেকে তুমি আমাদেরকে উদ্ধার কর।’’ এই দোয়ার ফলস্বরূপ পাথর একটু সরে গেল। কিন্তু তাতে তারা বের হতে সক্ষম ছিল না। দ্বিতীয়-জন দোয়া করল, হে আল্লাহ! আমার একটি চাচাতো বোন ছিল। সে আমার নিকট সকল মানুষের চেয়ে প্রিয়তমা ছিল। (অন্য বর্ণনা অনুযায়ী) আমি তাকে এত বেশী ভালবাসতাম, যত বেশী ভালবাসা পুরুষরা নারীদেরকে বাসতে পারে। একবার আমি তার সঙ্গে যৌন মিলন করার ইচ্ছা করলাম। কিন্তু সে অস্বীকার করল। পরিশেষে সে যখন এক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ল, তখন সে আমার কাছে এল। আমি তাকে এই শর্তে ১২০ দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) দিলাম, যেন সে আমার সঙ্গে যৌন-মিলন করে। সুতরাং সে (অভাবের তাড়নায়) রাজী হয়ে গেল। অতঃপর যখন আমি তাকে আয়ত্তে পেলাম। (অন্য বর্ণনা অনুযায়ী) যখন আমি তার দু’পায়ের মাঝে বসলাম, তখন সে বলল, তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং অবৈধভাবে (বিনা বিবাহে) আমার পবিত্রতা নষ্ট করো না। সুতরাং আমি তার কাছ থেকে দূরে সরে গেলাম; যদিও সে আমার একান্ত প্রিয়তমা ছিল এবং যে স্বর্ণমুদ্রা আমি তাকে দিয়েছিলাম তাও পরিত্যাগ করলাম। হে আল্লাহ! যদি আমি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকি, তাহলে তুমি আমাদের উপর পতিত মুসীবতকে দূরীভূত কর।’’ সুতরাং পাথর আরো কিছুটা সরে গেল। কিন্তু তাতে তারা বের হতে সক্ষম ছিল না। তৃতীয়জন দোয়া করল, হে আল্লাহ! আমি কিছু লোককে মজুর রেখেছিলাম। (কাজ সুসম্পন্ন হলে) আমি তাদের সকলকে মজুরী দিয়ে দিলাম। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন মজুরী না নিয়ে চলে গেল। আমি তার মজুরীর টাকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করলাম। (কিছুদিন পর) তা থেকে প্রচুর অর্থ জমে গেল। কিছুকাল পর একদিন সে এসে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার মজুরী দিয়ে দাও।’ আমি বললাম, এসব উঁট, গাভী, ছাগল এবং গোলাম (বাঁদি) যা তুমি দেখছ তা সবই তোমার মজুরীর ফল।’ সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার সঙ্গে উপহাস করবে না।’ আমি বললাম, আমি তোমার সঙ্গে উপহাস করিনি (সত্য ঘটনাই বর্ণনা করছি)।’ সুতরাং আমার কথা শুনে সে তার সমস্ত মাল নিয়ে চলে গেল এবং কিছুই ছেড়ে গেল না। হে আল্লাহ! যদি আমি এ কাজ একমাত্র তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করে থাকি, তাহলে যে বিপদে আমরা পড়েছি তা তুমি দূরীভূত কর।’’ এর ফলে পাথর সম্পূর্ণ সরে গেল এবং সকলেই (গুহা থেকে) বের হয়ে চলতে লাগল। [বুখারি ২২১৫, ২২৭২, ২৩৩৩, ৩৪৬৫, ৫৯৭৪, মুসলিম ২৭৪৩, আবু দাউদ ৩৩৮৭, আহমদ ৫৯৩৭]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয কি না? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে এ বিষয়ে হানাফী ও সালাফী উলামায়ে কেরামদেরকে বেশ মতবিরোধ করতে দেখা যায়।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ জায়েয বলেন।অর্থাৎ নবী বা অন্য কোনো নেককারের নেক কাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ জায়েয,চায় উসীলা গ্রহণকৃত ব্যক্তি জীবিত হোক বা মৃত হোক, সর্বাবস্থায় উসীলা গ্রহণ জায়েয।
জীবিত ব্যক্তিরর উসীলা না মৃত ব্যক্তির উসীলা? এবং ব্যক্তিত্বের উসিলা না নেককাজের উসিলা?
মূলত এ বিষয়দ্বয়কে কেন্দ্র করেই হানাফী ও সালাফীদের মধ্যে মতবিরোধের সূচনা হয়েছিলো।এবং এখনো হরদম হচ্ছে।
উভয়ের কাছে দলীল প্রমাণ রয়েছে।কিন্তু যদি আমরা মূল জিনিষটা বুঝতে পারি তাহলে দেখব যে,এ বিষয়ে শাব্দিক বিরোধ ছাড়া আর কিছুও নয়।অথচ আফসোস!হায় এ বিষয়টা না বুঝে আমরা একজন আরেকজনকে কতকিছুই না বলতেছি।বেদাতি,কাফির,কোনো শব্দই আমাদের থেকে ছুটে পালিয়েও রেহাই পাচ্ছে না।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ ব্যক্তি উসীলাকে জায়েয বললেও নবী ব্যতীত অন্য কারো ব্যক্তিত্বের উসীলাকে কখনো বৈধ বলেন না।সুতরাং আমরা দেখতে পারছি যে,ব্যক্তিত্বর উসীলা বিষয়ে হানাফী উলামায়ে কেরামদের মতামত ও প্রায় সালাফী আলেমদের মত।
এ দুই দলের প্রয়োগকৃত শব্দরাজির শাব্দিক পার্থক্য বৈ অর্থগত কোনো পার্থক্য অদ্য এতে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।
এখন রয়ে গেল,জীবিত না মৃত?এর উসীলা বিষয়ক মতানৈক্য।
এ সম্পর্কে হানাফী উলামায়ে কেরামদের মতামতই যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে,
কেননা আমরাতো নেককাজের উসীলা গ্রহণ করবো,কেউ মারা যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিতভাবে বুঝা যাবে না যে সেকি নেককার না বদকার?
যেমনঃ ইবনে মাসউদ রাযি বলেনঃ ,
عن ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ :
ﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ ﻣُﺴْﺘَﻨًّﺎ ، ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻦَّ ﺑﻤﻦ ﻗﺪ ﻣﺎﺕَ ، ﻓﺈﻥَّ ﺍﻟﺤﻲَّ ﻻ ﺗُﺆﻣَﻦُ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻔِﺘْﻨَﺔُ
ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺒﺮ ﻓﻲ " ﺟﺎﻣﻊ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻓﻀﻠﻪ " ( 2/947 ـ ﺭﻗﻢ 1810 )
যদি কেউ কাউকে অনুসরণ করতে চায়,তবে যেন সে মৃত কারো অনুসরণ করে,কেননা জীবিত কারো উপর ফিতনার আশংকা থেকে নিরাপদ থাকা যায় না।
(জা'মেউল বয়ান ওয়া ফাদলিহি-১৮১০)
ইবনে মাসউদ রাযি এর উপরোক্ত কথা থেকে বুঝা যায় যে মৃত ব্যক্তির (অর্থাৎ তার নেককাজের) অনুসরণ উত্তমভাবে বৈধ হবে।কেননা এক্ষেত্রে সে জীবিত মানুষের তুলনায় ফিতনা থেকে সম্পূর্ণই নিরাপদ।
কিন্তু হায়,আফসোস!
উসীলা গ্রহণ সম্পর্কে দু-পক্ষ্য থেকেই সীমালঙ্ঘন পরিলক্ষিত হচ্ছে,অথচ আমাদেরকে হুকুম দেয়া হয়েছিলো,শরীয়তের আওতাভূক্ত থাকতে।
যেমন আমাদের হানাফীদের কেউ কেউ সরাসরি ব্যক্তিত্বর উসীলাকে জায়েয মনে করেন।যা কাম্য নয়।বরং ব্যক্তিত্বর উসীলা তখনই বৈধ যখন ব্যক্তিত্বর মাধ্যমে নেককাজকে উদ্দেশ্য নেওয়া হবে।নতুবা জায়েয হবে না।
প্রশ্ন হতে পারে মৃত মানুষের উসিলা জায়েয হলে, উমর রাযি কেন নবীজীর উসীলা গ্রহণ না করে ইবনে আব্বাস রাযি এর উসীলা গ্রহণ করলেন?
মুহাদ্দিসিনে কেরামগণ উক্ত প্রশ্নের বিভিন্ন জবাব দিয়েছেন।
সর্বোত্তম জবাব হলো,এজন্য দিয়েছেন যাতে মানুষগণ জানতে পারে যে, মৃত মানুষের উসীলা গ্রহণ করাও জায়েয।
আরো.....
{আহসানুল-ফাতাওয়া, ১/৩৩১}
{ ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ-১/৭০}
{ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়্যাহ-১/২১৭}