আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,897 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)

আসসালামুআলাইকুম, 1.চোখ নাক মুখ ছাড়া  মানুষে মানুষের ছবি অংকন  কি জায়েজ কিংবা  অনেকে যে  ইসলাম প্রচারের জন্য   বিভিন্ন মিম বানায় আর সেখানে  চোখ নাক মুখ ছাড়া কার্টুন ব্যবহার করে এটা কি জায়েজ?      

2.প্রজাতির আকারে কিছু বানানো কাগজ দিয়ে কি গোনাহ?

3.ছোটবেলায় আকাশে পাখি বোঝানোর জন্য যে ছোট ছোট 2টা দাগ দিয়ে পাখিরা উড়ছে বোঝানো হত এটা কি জায়েজ?          

1 Answer

0 votes
by (696,720 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

(১)

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,

و في حاشية ابن عابدين-ج١:ص٦٤٩

(قوله أو مقطوعة الرأس) أي سواء كان من الأصل أو كان لها رأس ومحي، وسواء كان القطع بخيط خيط على جميع الرأس حتى لم يبق له أثر، أو بطليه بمغرة أو بنحته، أو بغسله لأنها لا تعبد بدون الرأس عادة وأما قطع الرأس عن الجسد بخيط مع بقاء الرأس على حاله فلا ينفي الكراهة لأن من الطيور ما هو مطوق فلا يتحقق القطع بذلك، وقيد بالرأس لأنه لا اعتبار بإزالة الحاجبين أو العينين لأنها تعبد بدونها وكذا لا اعتبار بقطع اليدين 

أو الرجلين بحر (قوله أو ممحوة عضو إلخ) تعميم بعد تخصيص، وهل مثل ذلك ما لو كانت مثقوبة البطن مثلا. والظاهر أنه لو كان الثقب كبيرا يظهر به نقصها فنعم وإلا فلا؛ كما لو كان الثقب لوضع عصا تمسك بها كمثل صور الخيال التي يلعب بها لأنها تبقى معه صورة تامة تأمل

যদি মাথা কর্তিত থাকে,চায় প্রথম থেকেই ফটোর মাথা না থাকুক বা পরবর্তীতে মিটিয়ে দেয়া হোক।পাথর বা সিমেন্ট জাতীয় পদার্থ দ্বারা কিংবা গোসলের দ্বারা মিটেয়ে দেয়া হোক।(সেই ফটোর ব্যবহার অনুমোদন যোগ্য)কেননা মাথা ছাড়া ফটোর ইবাদত করা হয় না। মাথা ফটোতে বাকী থাকাবস্থায় একটা চিন্থ/রেখা দ্বারা মাথাকে শরীর পৃথক করার দ্বারা মাকরুহকে দূর করা যাবে না। কেননা অনেক পাখি এমন রয়েছে,সৃষ্টিগত ভাবে যাদের গলায় রেখার মত চিন্থ থাকে।দূর থেকে মনে হয় যেন,মাথা শরীর থেকে পৃথক রয়েছ অথচ বাস্তবে পৃথক নয়।মাথাকে শরীর থেকে পৃথক বা মিটিয়ে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে,দুনু চক্ষু বা ভ্রুু এর কথা বলা হচ্ছে না।কেননা চক্ষু বা ভ্রুু বিহীন ফটোরও ইবাদত করা হয়ে থাকে।ঠিকতেমনি হাত পা কর্তিত থাকাও ফটো জায়েয হওয়ার ব্যাপারে এর কোনো ধর্তব্য নেই।অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মিটানো থাকার অর্থ হল,যেমন পেঠে যদি বড় কোনো ছিদ্র থাকে,তাহলে সেটা নকস তথা ফটো জায়েয বলে গণ্য হবে।কিন্তু যদি ছিদ্রটা স্বাভাবিক পর্যায়ের হয়,যেমন লাঠি দ্বারা ভড় দিতে গিয়ে পেঠে কোনো ছিদ্র হয়ে যাওয়া,এ কারণে কিন্তু ফটোর বিধানে কোনোপ্রকার শীতিলতা আসবে না।(রদ্দুল মুহতারা-১/৬৪৯)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! উপরোক্ত আলোচনার বিত্তিতে আমরা বুঝতে পারলাম যে,

নাক কান মূখ বিহীন ফটো সমূহের ব্যবহার যদিও বৈধ,তবে এ সব অনর্থক কাজে সময় ব্যয় না করতে উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দিয়ে থাকেন।ইসলাম প্রচারের আরো হাজর পথ রয়েছে।সেগুলোর কোনো একটিকে বেঁচে নেয়াই উত্তম হবে।আল্লাহই ভালো জানেন।

(২)

নাক কান প্রস্ফুটিত করে কিছু তৈরী করা অবশ্যই গোনাহ।সুতরাং জায়েয হবে না।

(৩)

যেহেতু পরিস্কার দেখা যাচ্ছে না।তাই সেটার ব্যবহারে গোনাহ হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করিন- 1955

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...