বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
٨٨٧ - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ: الْجَبْهَةِ، وَالْيَدَيْنِ، وَالرُّكْبَتَيْنِ، وَأَطْرَافِ الْقَدَمَيْنِ، وَلَا نَكْفِتَ الثِّيَابَ وَلَا الشَّعْرَ» "، مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.
রাসূল সাঃ বলেন,আমাকে সাতটি অঙ্গ দ্বারা সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।(১)কপাল(২+৩)দুনু হাত(৪+৫)দুনু হাটু(৬+৭) দুনু পায়ের পাতার পার্শ দ্বারা। (মিশকাত,হাদীস নং-৮৮৭)
কেউ শুধুমাত্র কপাল দ্বারা সিজদা দিলে তার সিজদা আদায় হয়ে যাবে।আর কেউ শুধুমাত্র নাক দ্বারা তথা নাকে হাড় দ্বারা সিজদা দিলে ইমাম আবু হানিফা রাহ এর মাযহাব মতে সিজদা আদায় হয়ে যাবে।তবে বিনা প্রয়োজনে এমনটা করা মাকরুহ।।আর নাকের নরম অংশ দ্বারা সিজদা দিলে ইমাম আবু হানিফা রাহ এর মাযহাব মতে সিজদা আদায় হবে না।ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এবং ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মাযহাব মতে শুধুমাত্র নাক দ্বারা সিজদা দিলে সিজদা আদায় হবে না।চায় নাকের হাড় দ্বারা সিজদা দেওয়া হোক বা নাকের নরম অংশ দ্বারা হোক।এবং এই শেষোক্ত বক্তব্যর উপরই ফাতাওয়া।তথা শেষোক্ত বক্তব্যই গ্রহণযোগ্য।
(কিতাবুন নাওয়যিল-৩/৪৯৬)
(২)
জনৈক আলেম সাহেব যা বলেছেন,উনার কথা সত্যতা উনিই ভালো জানেন।আমরা এতটুকু জানি যে,কপাল দ্বারা এমনভাবে সিজদা দিতে হবে,যাতেকরে মাঠি বা পাকার শক্ততা কপালের হাড় দ্বারা অনুভব করা যায়।যদি মাঠি বা পাকার শক্ততা অনুভব করা না যায়, তাহলে সিজদাই হবে না।
(৩)
না,আপনার ভুল হচ্ছে না।আপনি যথার্থই আছেন।নামাযের প্রত্যেকটা রুকুন ধীরস্বভাবে আদায় করাই বেশী সওয়াবের কারণ ও উৎস।সুতরাং সবার উচিৎ ধীরস্বভাবে নামাযকে আদায় করা।