আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
332 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
edited by
যেহেতু বিয়ের আগের পাপ সমন্ধে ঘাটাঘাটি করা নিষেধ করা হয়েছে, সেহেতু আমার জিজ্ঞসা হল আমরা আসলে পাত্র/পাত্রীর কি সমন্ধে খোঁজখবর নিবো? এগুলা কি শুধু চাকরি - ক্যারিয়ার নিয়েই খোঁজখবর নেয়া? দ্বীনদারিতা নিয়ে প্রশ্ন করলে পাপের ইতিহাস বের হওয়ার আশংকা থাকে, যেমন উনি হয়তো নামাজে সিরিয়াস না। চরিত্র নিয়ে খবর নিতে গেলেও একই আশংকা। আবার যদ্দূর জানি দুশ্চরিত্রবান কাউকে বিয়ে করা মুমিন নারী/পুরুষের জন্যে নিষেধ।    এক্ষেত্রে কি করণীয়?

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 

চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।

কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।

{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-18

সুতরাং বিয়ের পূর্বে দ্বীনদ্বারিত্বকে খুঁজা হবে।দ্বীনদ্বারিত্বর ভিতর সবকিছুই রয়েছে।সে মহিলার ফ্যামিলি দ্বীনদ্বার,নামাযি কি না?তাদের আকাঈদ বিশুদ্ধ কি না?ঐ ফ্যামিলি বা পাত্রী প্রকাশ্যে কোনো হারাম কাজে লিপ্ত রয়েছে কি না?এবং যাদের নিকট এসব জিজ্ঞাসা করা হবে, তাদের ঈমানি দায়িত্ব হল,একজন মুসলমানকে ক্ষতি থেকে বাঁচাতে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা।ঐ মহিলা দ্বীনদ্বার কি না?এ সম্পর্কে অবগত হওয়ার স্বার্থেই মূলত এসব জিজ্ঞাসা করা।

আরেকটি বিষয় আমাদের স্বরণ রাখতে হবে,কোনো মানুষ তার অতীত গোনাহ থেকে তাওবাহ করার পর ঐ অতীতের গোনাহ তার দ্বীরদারিত্বর উপর কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।সুতরাং কারো তাওবাহ করার পর তার অতীতের কোনো গোনাহ সম্পর্কে কাউকে অবগত করিয়ে দেয়াও জায়েয হবে না।

বিয়ের পূর্বে পাত্রীর দ্বীনদ্বারিত্ব সম্পর্কে জানার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে,প্রয়োজনে কোনো মাহরাম মহিলার মাধ্যমেও পাত্রীকে তার দ্বীনদ্বারিত্ব নিয়ে মন্তব্য করার জন্য বলা যেতে পারে।

সুতরাং পাত্রীর দ্বীনদ্বারিত্ব সম্পর্কে যথাসাধ্য খোঁজখবর নেয়ার পর যখন কেউ বিয়ে করে নেবেন,তখন তাকে তার অতীতে কোনো গোনাহ সংগঠিত হয়েছিলো কি না?সে সম্পর্কে আর জিজ্ঞাসা করা যাবে না।এবং জিজ্ঞাসা করা হলেও মহিলার জন্য জবাব প্রদান করাও জায়েয হবে না।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1652

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

জবাব প্রদাণে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...