আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (64 points)
আসসালামু আলাইকুম। কোন নিকট আত্মীয় যদি নিচের অভ‍্যাসগুলো থাকে তাহলে কি করা উচিত?

1) ভুলে কোথাও টাকা রাখলে বা আলমারি খুলে রাখলে বা মানিব‍্যাগে টাকা রাখলে না বলে নিয়ে নেয় ও খরচ করে ফেলে । মাঝে মাঝে স্বীকার করে যে সে টাকা নিয়েছে, মাঝে মাঝে করেনা। নিজ ঘরেও টাকা রেখে দুঃচিন্তায় থাকতে হয়। এভাবে কেন টাকা নিয়েছো, ফেরত দেও এসব কিছু বললে ঝগড়া করে খারাপ ব‍্যবহার করা শুরু করে দেয়।
2) পাশের বাসায় থাকার কারনে প্রায় প্রতিদিনই তার ঘরে ভালো খাবার থাকা সত্ত্বেও খাবার অল্প থাকলেও তা নিয়ে যায়। নিষেধ করলেও শোনেনা। আমরা কি খাবো তা চিন্তা করেনা।

3) কোন কিছু তার মন মত না হলে সবার সাথে খুব দূর ব‍্যবহার করে। চিৎকার করে গালিগালাজ করে। গায়ের জোর দেখায়।

এসব কারনে তার প্রতি খুব ক্ষোভ জমে গেছে। তাকে দেখলেই রাগ উঠছে। ভালো ভাবে কথা বলতে পারছিনা। কোন প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে ইচ্ছা করেনা। জোর করে একটুআকটু কথা বলি। ঘরে আসলেও কথা না বলার, সামনে না পড়ার ও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আমি যে তার এসব কাজে তার উপর বিরক্ত এটা সে বোঝে তাও পরিবর্তিত হয় না বা চেষ্টাও করেনা।

*এতে কি আমার গোনাহ হচ্ছে?

*এই অবস্থায় শারিয়াহ অনুযায়ী করনীয় কি? এই সমস্যা থেকে বাচার কি কোন উপায় আছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


এক্ষেত্রে জরুরি হলো তাদের সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখে হিকমত, সদুপদেশ ও নম্রতার সাথে বুঝানো।

তার সাথে যদি সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়,তাহলে তাকে বুঝাবে কে?

কোনোভাবেই আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা।
,   
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা শরীয়তে জায়েজ নেই।
রাসুল সাঃ এ সম্পর্কে কঠোর ভাবে হুশিয়ারি করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে            
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " .

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
বুখারী (অধ্যায় : আদব, হাঃ ৫৯৮৪), মুসলিম (অধ্যায় : সদ্ব্যবহার আবু দাউদ ১৬৯৬)

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ " . قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ قَالَ سُفْيَانُ يَعْنِي قَاطِعَ رَحِمٍ

ইবনু আবূ উমার, নাসর ইবনু আলী ও সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী (রহঃ) ... জুবায়র ইবনু মুত‘ইম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। সুফইয়ান (রহঃ) বলেছেন, অর্থাৎ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী। সহীহ, গায়াতুল মারাম ৪০৮, সহীহ আবূ দাউদ ১৪৮৮, বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯০৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একেবারে কথা বন্ধ করে দিলে কথা না বলার কারনে আপনার গুনাহ হবে।
আর আগের তুলনায় অল্প হলেও কথা বললে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
যদি তারপরেও সমস্যা হয়, এ ক্ষেত্রে বিধান হলো আপনি শুধুমাত্র সালাম দেওয়া চালিয়ে যাবেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...