ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তাহলে আপনি প্রথমে আছর পড়বেন,তারপর আপনি মাগরিবের নামায পড়বেন।এতে যদি মাগরিবের জামাত তরক হয়েও যায়,তাহলে এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
(১)
ঈসালে সওয়াব
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﻲ ﻣﺎﻟﻚ ﻋﻦ ﻫﺸﺎﻡ ﺑﻦ ﻋﺮﻭﺓ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺃﻥ ﺭﺟﻼ ﻗﺎﻝ ﻟﻠﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺃﻣﻲ ﺍﻓﺘﻠﺘﺖ ﻧﻔﺴﻬﺎ ﻭﺃﺭﺍﻫﺎ ﻟﻮ ﺗﻜﻠﻤﺖ ﺗﺼﺪﻗﺖ ﺃﻓﺄﺗﺼﺪﻕ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻝ ﻧﻌﻢ ﺗﺼﺪﻕ ﻋﻨﻬﺎ-
তরজমাঃহযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত, একব্যক্তি নবীজী সাঃ কে এসে বললঃআমার মা হঠাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন,আমি মনে করি যদি তিনি কথা বলতেন,তাহলে তিনি সদকা করতেন,আমি তার পক্ষ্য থেকে কি সদকা করতে পারব?নবীজী সাঃ তদুত্তরে বললেনঃহ্যা পারবে।তুমি তার পক্ষ্য থেকে সদকা কর।(সহীহ বুখারী-২৬০৯০
উক্ত হাদীসে মায়ের পক্ষ্য থেকে সদকা করার কথা নবীজী সাঃ বলছেন।যদি সদকার সওয়াব মায়ের কাছে না পৌছত, নবীজী সাঃ কখনো সদকার করার পরামর্শ দিতেন না। ইবনে নুজাইম রাহ এপিট-ওপিট আলোচনা করে আরও বলেনঃ-
ﻭﺃﻣﺎ ﻗﻮﻟﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ : } ﻻ ﻳﺼﻮﻡ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ ، ﻭﻻ ﻳﺼﻠﻲ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ { ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻌﻬﺪﺓ ﻻ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻓﺈﻥ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺃﻭ ﺻﻠﻰ ﺃﻭ ﺗﺼﺪﻕ ﻭﺟﻌﻞ ﺛﻮﺍﺑﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺍﻷﻣﻮﺍﺕ ﻭﺍﻷﺣﻴﺎﺀ ﺟﺎﺯ ﻭﻳﺼﻞ ﺛﻮﺍﺑﻬﺎ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺪﺍﺋﻊ ﻭﺑﻬﺬﺍ ﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺠﻌﻮﻝ ﻟﻪ ﻣﻴﺘﺎ ﺃﻭ ﺣﻴﺎ
তরজমাঃনবীজী সাঃ এর ঐ হাদীস ""কেউ কারো পক্ষ্য থেকে নামায/রোজা আদায় করতে পারবে না""এর অর্থ হচ্ছে কেউ কারো পক্ষ্য থেকে তার উপর আরোপিত ফরয/ওয়াজিব হুকুম- আহকাম আদায় করতে পারবে। বরং নিজ ফরয/ওয়াজিব নিজেই আদায় করতে হবে। অন্যর ফরয/ওয়াজিব আদায় করে তাকে দায় মুক্ত করানো যাবে না। তবে নফল ইবাদতের সওয়াব জীবিত/মৃত যে কাউকে দেয়া জায়েয আছে।এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে উক্ত সওয়াব প্রেরণকৃত ব্যক্তির কাছে গিয়ে পৌছে।(বাদায়ে সানায়ে)নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছতে জীবিত/মৃতর কোন পার্থক্য নেই। (বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/৩৫৬৫
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি দিন তারিখ ঠিক না করে,এবং জরুরী মনে না করে মেজবানির আয়োজন করা হয়,তাহলে এটার অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু যদি প্রচলন অনুযায়ী দিন তারিখ ঠিক করে মেজবানির আয়োজন করা হয়,তাহলে সেটা বিদ'আত।করাও বিদ'আত এবং তাতে শরীক হওয়াও বিদ'আত। যেহেতু আমাদের দেশে প্রচলন অনুযায়ীই এগুলো করা হয়,তাই এগুলো না করাই ভালো ও উত্তম।জায়েয হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5279 আপনি আপনার মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে গরীব মিসকিনকে নগদ সহায়তা করতে পারেন।মসজিদ মাদরাসা ও এতিম খানায় দান সদকাহ করতে পারেন।
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং তৎপরবর্তী জমানায় কুলখানি করার কোনো নিয়ম ছিল না, তাই এগুলো করা বিদ’আত।
(৩)মাগরিবের পূর্বে সংক্ষেপে দু'রাকাত সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদার নামায পড়া যাবে।