ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ককে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَّ يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَن تَتَّقُواْ مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللّهِ الْمَصِيرُ
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।(সূরা আলে ইমরান-২৮)
কোনো অমুসলিমকে ইসলামের দিকে দীক্ষিত করতে,বা কোনো প্রভাবশালী অমুসলিমের ক্ষতি থেকে নিজেকে হেফাজত করতে তার সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যায়, তবে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন কখনো জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো অমুসলিমকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা যাবে না। জায়েয হবেনা।
উচিত এর অর্থ হল, কাজটি জায়েয এবং করাটাও উচিত। এবং অুনচিত এর অর্থ হল, কাজটি করা জায়েয হলেও না করাই উত্তম।
ফয়সাল নাম রাখা যাবে। ফেসবুকে বিধর্মীদের বন্ধু বানানো জায়েয যেহেতু তাদেরকে আন্তরিক বন্ধু রূপে গ্রহণ করা হচ্ছে না, তবে বন্ধু না বানানোই উত্তম।