ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)খাবারে নাপাক লাগার পর সেটা লজ্জার কারণে কাউকে বলতে পারলে এবং সবাই ভক্ষণ করলে এক্ষেত্রে আপনি আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবেন।
(২)সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছুকে নাপাক বলা যাবে না।
নাপাকি নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো কাপড় চোপড় কে নাপাক ভাবা যাবে না।
ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,
যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃপূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।(অাল-আশবাহ ওয়াননাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য)
সুতরাং
যেহেতু সন্দেহ পূর্বের ইয়াকিন-বিশ্বাসকে দূরবিত করে না।সুতরাং পবিত্র কাপড় সন্দেহ দ্বারা নাপাক হবে না।
(৩)যদি সে সঠিক ভাবে কাপড় ধৌত করতে পারছে কি অবশ্যই আপনি দূর থেকে দেখবেন। তিনদিন পরীক্ষা করার পর যদি দেখা যায় যে, সে সঠিকভাবে ধৌত করতে পারছে, তাহলে আপনি তাকে কাপড় ধৌত করার দায়িত্ব দিতে পারবেন। আপনার কাপড় শরয়ী নিয়ম মেনে ধৌত করে দিবে বলে যদি সে দায়িত্ব নেয়, তাহলে আপনি তাকে কাপড় ধৌত করার দায়িত্ব দিতে পারবেন। যদি এরপর তিনি সঠিক নিয়মে ধৌত না করেন, তাহলে আপনার গোনাহ হবে না, আপনারই গোনাহ হবে।
(৪) জ্বী, যেহেতু আপনি আপনার মাকে সঠিক নিয়ম দেখিয়ে দিয়েছেন, তাই আপনি আপনার মাকে কাপড় ধৌত করার জন্য দিতে পারেন। যেহেতু উনি আপনাকে আশ্বস্থ করেছেন যে, সঠিক নিয়মে কাপড় ধৌত করবেন, তাই কোনো ভুলভ্রান্তি হলে দায়ভার উনার উপরই বর্তাবে।
(৫) অজু গোসল করা লাগবে না তবে তাকে উক্ত খাবারের পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিতে হবে। এবং আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে। আপনি আরো কিছু প্রশ্ন ইডিট করেছেন। আপনার ্ইডিট করা প্রশ্নের জবাব পরে দেওয়া হবে।