আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
edited by
খাবারে নাপাক লাগার পর সেটা লজ্জার কারণে কাউকে না বললে সেই খাবার সবাই খেলে সেই গুনাহ থেকে বাচার জন্য কী করতে পারি।

২/ সন্দেহেট বশবর্তী হয়ে কী কিছুকে নাপাক বলা যাবে।

৩/ আমি একজনকে কাপড় ধোয়ার জন্য দেই। সে সঠিক নিয়মে কাপড় ধুতো না।এখন তাকে সঠিকটা দেখিয়ে দিয়েছি।সএখন কী তাকে কােড় ধুতে দিতে পারি নিসন্দেহে।যদি সে আবার ইচ্ছা করে ভুল করে আমার কাপড় সটিক নিয়মে না ধোয় তাহলে কী আমার গুনাহ হবে

৪/ আমার মা এতদিন সঠিক নিয়মে কাপড় ধুত না।আমি তাকে সঠিক নিয়ম দেখিয়ে দেই।এটপর সে আমাকে বলে যে সে সব াাৃয় এই নিয়মেই ধুবে।কিন্তু আমি পড়াশোনার জন্য স্কুল,কোচিং থাকি।এখন আমি কী করতে পারি।তর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস করব

৫ / কেউ যদি নাপাক কিছু খেয়ে ফেলে তাহলে সে কীভাবে তওবা করবে এবংং পবিত্রতা অর্জন করবে।তাকে কী গোসল,ওজু কিছু করা লাগবে।

৬/ একজনের বাসায় দাওয়াতে যায়।সেখানে যে রান্না করছিল তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করি কিছু সময়।তখন মনে হয় যে সে যা রান্না করছে তাতে লিছু নাপাকি লাগে।এই সন্দেহ নিয়েই খাবার খাই।দাওয়াতে সবাই খায়।এখন আমি খুবই চিন্তিত যে সত্যি যদি নাপাকি থাকে তাহলে আমি না জানানোয় গুনাহ হয়েছে।আবার ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করায় সে বলল যে সে রান্নার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিয়ে ছে।যদি আমার মনে হয় সে সত্যবাদী। কিন্তু তাও মানসিক প্রসান্তি পাচ্ছি না
৭/ চোখের কেতর কী নাপাক।

৮/ বাসায় খাবার রান্নার পর খাবারে নাপাকি লেগেছে সন্দেহ হলো।আমি ধরে নিলাম খাবার নাপাক। আমাকে খেতে দিলে সেটা ফেলে দেব।কিন্তু এ বিষয়ে মায়ের সাথে আলোচনা করার পর আমার চিন্তা পাল্টালো।আমি সেটা খেলাম।এখন আমি কী নাপাক হয়েছে বিশ্বাস করার জন্য খাবার আমার জন্য নাপাক ছিল।যদিও আমি সুস্পষ্ট ভাবে দেখিনে যে আসলে নাপাক লেগেছে কীনা।রান্নার সময় মায়ের কর্মকান্ডে মনে হয়েছিল যে নাপাকি লেগেছিল আমি সেই খাবার খেয়েছি।এখন আমি কী করব

৯/ বালতিতে নাপাকি লাগার পর সেটা ফেলে দিয়ে ১ বার ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে দিয়ে শুকিয়ে নিলে কী পাক হবে

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)খাবারে নাপাক লাগার পর সেটা লজ্জার কারণে কাউকে বলতে পারলে এবং সবাই ভক্ষণ করলে এক্ষেত্রে আপনি আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবেন। 

(২)সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছুকে নাপাক বলা যাবে না। 
নাপাকি নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো কাপড় চোপড় কে নাপাক ভাবা যাবে না।
ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,
যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃপূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।(অাল-আশবাহ ওয়াননাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য) 

সুতরাং 
যেহেতু সন্দেহ পূর্বের ইয়াকিন-বিশ্বাসকে দূরবিত করে না।সুতরাং পবিত্র কাপড় সন্দেহ দ্বারা নাপাক হবে না।

(৩)যদি সে সঠিক ভাবে কাপড় ধৌত করতে পারছে কি অবশ্যই আপনি দূর থেকে দেখবেন। তিনদিন পরীক্ষা করার পর যদি দেখা যায় যে, সে সঠিকভাবে ধৌত করতে পারছে, তাহলে আপনি তাকে কাপড় ধৌত করার দায়িত্ব দিতে পারবেন। আপনার কাপড় শরয়ী নিয়ম মেনে ধৌত করে দিবে বলে যদি সে দায়িত্ব নেয়, তাহলে আপনি তাকে কাপড় ধৌত করার দায়িত্ব দিতে পারবেন। যদি এরপর তিনি সঠিক নিয়মে ধৌত না করেন, তাহলে আপনার গোনাহ হবে না, আপনারই গোনাহ হবে। 

(৪) জ্বী, যেহেতু আপনি আপনার মাকে সঠিক নিয়ম দেখিয়ে দিয়েছেন, তাই আপনি আপনার মাকে কাপড় ধৌত করার জন্য দিতে পারেন। যেহেতু উনি আপনাকে আশ্বস্থ করেছেন যে, সঠিক নিয়মে কাপড় ধৌত করবেন, তাই কোনো ভুলভ্রান্তি হলে দায়ভার উনার উপরই বর্তাবে। 

(৫) অজু গোসল করা লাগবে না তবে তাকে উক্ত খাবারের পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিতে হবে। এবং আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে। আপনি আরো কিছু প্রশ্ন ইডিট করেছেন। আপনার ্ইডিট করা প্রশ্নের জবাব পরে দেওয়া হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...