আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
498 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
১৷ নাপাক অবস্থায় কি খাবার খাওয়া জায়েজ হবে?

২৷ নাপাক অবস্থায় যে পাত্রে খাবার/পানি খাওয়া হয়, সে পাত্রও কি নাপাক হয়ে যাবে? মুখ তো সাধারণত নাপাক হয় না, তবুুুও পাত্র ধোয়ার প্রয়োজন আছে?

৩৷ নাপাক অবস্থায় পানি খাওয়ার সময় পাত্রে নাপাক লাগেনি বলেই দৃঢ় বিশ্বাস হয়, তবু্ও যদি লেগে যায় আর পরে শুকিয়ে যেয়ে দেখা না যায়, তবে কি সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো শরীর,কাপড় নাপাক অবস্থায়  খাবার খাওয়া জায়েজ আছে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ قَالَ سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ يُحَدِّثُ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَجْنَبَ فَأَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ أَوْ يَنَامَ تَوَضَّأَ 

আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জুনুবী (অপবিত্র) অবস্থায় থাকতেন, তখন তিনি খাওয়া বা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে ওযু করতেন।
বুখারী, গুসল ২৮৬; মুসলিম, হায়েয ৩০৫। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫২২. ৪৫৯৫, ৪৭৮২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২১৭, ১২১৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم لَقِيَهُ فَأَهْوَى إِلَيْهِ فَقَالَ إِنِّي جُنُبٌ . فَقَالَ " إِنَّ الْمُسْلِمَ لَا يَنْجُسُ " . - صحيح 
হুযাইফাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তার সাক্ষাত ঘটলে তিনি হুযাইফাহর দিকে (মুসাফাহ করতে) এগিয়ে আসলেন। তখন হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, আমি তো নাপাক অবস্থায় আছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মুসলমান (কখনো) অপবিত্র হয় না বা অপবিত্র নয়।
মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ মুসলমান অপবিত্র হয় না তার প্রমাণ), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ জুনুবীর সাথে মুসাফা করা ও বসা, হাঃ ২৬৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ অপবিত্র ব্যক্তির সাথে মুসাফাহ করা, হাঃ ৫৩৫), আহমাদ (৫/৩৮৪, ৪০২),

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَبِشْرٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَقِيَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَأَنَا جُنُبٌ فَاخْتَنَسْتُ فَذَهَبْتُ فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ " أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ " . قَالَ قُلْتُ إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ عَلَى غَيْرِ طَهَارَةٍ . فَقَالَ " سُبْحَانَ اللهِ إِنَّ الْمُسْلِمَ لَا يَنْجُسُ " . - صحيح 

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনার এক রাস্তায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়। আমি তখন নাপাক অবস্থায় ছিলাম। তাই আমি পিছনে হটে গিয়ে গোসল করে আসলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ হুরাইরাহ্! তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে? আমি বললাম, আমি নাপাক ছিলাম বিধায় অপবিত্র অবস্থায় আপনার সাথে বসা অপছন্দ করলাম। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! মুসলমান (কখনো) অপবিত্র হয় না।
বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ জুনুবী ব্যক্তির ঘাম, নিশ্চয় মুসলিম অপবিত্র নয়, হাঃ ৩৮৩), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ মুসলমান অপবিত্র হয় না তার প্রমাণ,আবু দাউদ ২৩১।)

★ফরজ গোসল না করে নামায,তাওয়াফ,কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা  এবং মসজিদে গমণ করা নিষেধ। এছাড়া জিকির-আযকার করা, দরুদ শরীফ পড়া, ওযীফা পড়া, বিভিন্ন দোয়া পড়া, ঘরের কাজ করা, পানাহার করা সহ অন্যান্য কোনো কাজই নিষেধ নয়। 
,
(০২)
না,পাত্র নাপাক হবেনা।
তবে হাতে নাপাকি লেগে থাকলে পাত্র স্পর্শ করার কারনে সেই পাত্র নাপাক হয়ে যাবে।
(০৩)
যেহেতু পাত্রে নাপাক লাগেনি বলেই দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে,তাই কোনো সমস্যা নেই।
যদি নাপাকি লেগে শুকিয়ে যায়,তাহলে হাত শুকনো থাকলে সেই পাত্র স্পর্শ করতে কোনো সমস্যা নেই।
হ্যাঁ হাত ভেজা থাকলে হাত নাপাক হয়ে যাবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 253 views
...