আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,022 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম, স্বামীর সাথে ঝগড়া চলাকালিন স্ত্রী স্বামীকে ম্যাসেজ করে তার সাথে এভাবে থাকা সম্ভব নয়।সে যাতে তাকে ছেড়ে দেয়।তখন স্বামী ফোন দিয়ে বলে তুমি কি সত্যি ই তালাক চাও তখন স্ত্রী বলে হ্যা।স্বামী তাকে বলে কসম করে বল তখন স্ত্রী কোনো কসম করে না।তখন স্বামী স্ত্রী কে বলে আজ থেকে তুমি আমার জন্য হারাম। তারপর বলে ৩/৪ মাস পর কাগজ পাঠিয়ে ফাইনাল স্টেপ নিবে।স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করে তিনি কি এসব কথা তালাকের নিয়তে বলেছে কি না তখন স্বামী বলে সে এসব তালাকের নিয়তে বলে নিই।এই ক্ষেত্রে কি তাদের তালাক হয়ে গিয়েছে?
আর পূর্বে স্ত্রী কে স্বামী তালাকের অধিকার দিয়েছে।এমনটা বলে যে আমি তোমাকে ছাড়ব না কিন্তু তুমি চাইলে আমাকে ডির্ভোস দিতে পারো আমি সাইন করে দিবো বাঁধা দিবো না।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামের মূল থিউরী হল স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হোক। তারা মিলেমিশে থাকুক। সমস্যা হলে উভয়ে বসে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাতে সমস্যার সমাধান না হলে পারিবারিক মুরুব্বীদের পরামর্শের আলোকে সমাধান করা উচিত। তারপরও যদি সমাধান না আসে। তাহলে নিরূপায় অবস্থায় ইসলাম এক তালাক দেবার অধিকার দিয়েছে স্বামীকে। 
,
সূরা আন নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ وَاللَّاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا (34)

"পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক। কারণ, আল্লাহ তাদের একের ওপর অপরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং পুরুষেরা নিজের ধন-সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা অনুগত এবং বিনম্র। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তারা তাঁর অধিকার ও গোপন বিষয় রক্ষা করে। আল্লাহই গোপনীয় বিষয় গোপন রাখেন।যদি স্ত্রীদের অবাধ্যতার আশংকা কর তবে প্রথমে তাদের সৎ উপদেশ দাও। এরপর তাদের শয্যা থেকে পৃথক কর এবং তারপরও অনুগত না হলে তাদেরকে শাসন কর৷ এরপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তবে তাদের সাথে কর্কশ আচরণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমু্ন্নত-মহীয়ান।" (৪:৩৪)
,
সুরা বাকারার ২২৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آَتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (229)

"এ তালাক দু'বার, অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিসম্মতভাবে রাখবে অথবা সদয়ভাবে বিদায় দেবে। আর স্ত্রীকে দেয়া কোন কিছু ফেরৎ নেয়া তোমাদের পক্ষে উচিত নয়। তবে যদি তাদের উভয়ের আশংকা হয় যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না এবং তোমরা যদি আশংকা কর যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তবে (সে অবস্থায়) স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে (স্বামী থেকে) নিষ্কৃতি পেতে চাইলে তাতে (স্বামী-স্ত্রীর) কারো কোনো পাপ নেই। এসব আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই তা লংঘন কর না। যারা আল্লাহর (নির্দিষ্ট) সীমারেখা লংঘন করে তারাই অত্যাচারী।" (২:২২৯)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ
তুমি আমার উপর হারাম,আমার জন্য হারাম। 
তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 
এখানে নিয়তের প্রয়োজন নেই। 
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৯/২৮৪)
,       
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 
উক্ত স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করতে চাইলে পুনরায় নতুন করে মোহরানা ধার্য করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

وإن الحرام في الأصل کنایة یقع بہا البائن، لأنہ لما غلب استعمالُہ في الطلاق لم یبق کنایة، ولذا لم یتوقف علی النیة أو دلالة الحال إلخ (الشامي زکریا: ۴/۵۳۰)
সারমর্মঃ
হারাম শব্দ প্রকৃত পক্ষে কিনায়া বাক্য,এর দ্বারা বায়েন তালাক পতিত হয়৷।   
তালাকের ক্ষেত্রে হারাম শব্দটির ব্যবহার ব্যাপক হওয়াতে এটি আর কিনায়া বাক্য হিসেবে নেই।
তাই নিয়ত না থাকলেও তালাক পতিত হবে। 

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 252):
"ومن الألفاظ المستعملة: الطلاق يلزمني، والحرام يلزمني، وعلي الطلاق، وعلي الحرام فيقع بلا نية للعرف.
 (قوله: فيقع بلا نية للعرف) أي فيكون صريحا لا كناية، بدليل عدم اشتراط النية وإن كان الواقع في لفظ الحرام البائن لأن الصريح قد يقع به البائن كما مر، لكن في وقوع البائن به بحث سنذكره في باب الكنايات، وإنما كان ما ذكره صريحا لأنه صار فاشيا في العرف في استعماله في الطلاق لا يعرفون من صيغ الطلاق غيره ولا يحلف به إلا الرجال، وقد مر أن الصريح ما غلب في العرف استعماله في الطلاق بحيث لا يستعمل عرفا إلا فيه من أي لغة كانت، وهذا في عرف زماننا كذلك فوجب اعتباره صريحا كما أفتى المتأخرون في أنت علي حرام بأنه طلاق بائن للعرف بلا نية مع أن المنصوص عليه عند المتقدمين توقفه على النية".
সারমর্মঃ
এগুলো শব্দ নিয়য় ছাড়া বললেও তালাক পতিত হবে। 
হারাম শব্দ প্রকৃত পক্ষে কিনায়া বাক্য,এর দ্বারা বায়েন তালাক পতিত হয়৷।   
তালাকের ক্ষেত্রে হারাম শব্দটির ব্যবহার ব্যাপক হওয়াতে এটি আর কিনায়া বাক্য হিসেবে নেই।
তাই নিয়ত না থাকলেও তালাক পতিত হবে। 
,
★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 
উক্ত স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করতে চাইলে পুনরায় নতুন করে মোহরানা ধার্য করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
Assalamu alaikum,,hujur ami ekta bepar niye khub tension ey achi,ami amar husband er shathe jhogra lagle pray jid kore divorce chaitam,pore jante parlam husband thik ache ba hae ,hm,ei type er kotha bolle divorce hoy,kintu ei kothay amar husband ki bolto tar bindu matro idea amar ebong amar husban er karu nai,tobe amar husband amak bole tar kokhonui shommoti chilona,tarpor o amar moner bhetor shongshoy hochhe bolse ki boleni,kunobhabei mone korte parchina,tai ei bepare apni jodi amak bole diten ekhon amader ki kora uchit bhalo hoto,
by
Mane ami jokhon divorce chaitam tokhon amar husband ashole ki bolto ami ar amar husband kew e janina,onek mone korar cheshta korchi kichui mathay ashchena,asholei ki hae,hm,thik ache. Ei type er kitha boleche kina  kuno dharona korte parchina,amar mone shondehota ei jonnoi ashche karon ami divorce chaitam,kintu amar husband ki reply dise sheta ekdom mone korte parchina,shondeho kun dike beshi jabe shetao dhorte parchina,ami khub shondeho probon,amak ektu janale khub khushi hotam,ashole ekhon amar ki kora uchit,

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...