আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (106 points)
reshown by
আমি ও আমার বান্ধবী নতুন দ্বীনের পথে হাঁটা শুরু করছি আলহামদুলিল্লাহ।  কিন্তু দু'জনকেই একটা কমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আর সেটা হলো - বাসায় আম্মুর সাথে তর্ক ঝগড়া বেঁধে গেলে বিরাটা আকার ধারণ করছে, বিশেষ করে খালু ফুপা কাজিনদের সামনে পর্দা করা নিয়ে। যেহেতু এতোদিন দ্বীনের ব্যাপারে অজ্ঞ ছিলাম, মা-বাবার ক্ষেত্রে আখলাক ও এতোদিন এমন ছিল না যে যা বলবে চুপ করে শুনব,পালটা জবাব দিব  না.. কিন্তু এখন আমরা জানি যে একটায়া ঊহ সাউন্ড করলেও আল্লাহ রাগ করেন!

কিন্তু আখলাক পরিবর্তন একদিনে সম্ভব না এটা বুঝে গেছি।

আমি চাচ্ছি আমার ঐ বান্ধবীর সাথে মিলে আমরা এই দিকটা পরিবর্তনের চেষ্টা করি। পরিকল্পনা হলো - আমরা নিজেদের সংযত করার চেষ্টা করব আর প্রতিদিন রাতে আমরা একে অপরকে রিপোর্ট করব যে আজ সারাদিন কয়বার আম্মুর কথার পালটা জবাব দিয়েছি/ রেগে গেছি/ ধমক দিয়েছি ইত্যাদি।  এভাবে দেখব দিনদিন আমরা উন্নতির দিকে যাচ্ছি কিনা।

আমার প্রশ্ন হল- মা এর সাথে এরকম ব্যবহার এর কথা এভাবে বান্ধবীর কাছে বললে কি তা আমার গুনাহ প্রকাশ করা হবে? নিজেকে শুধরানোর জন্য এই কাজটা কী করা যাবে না?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোনাহ করার পর উক্ত গোনাহকে প্রকাশ না করার নির্দেশ রাসূলুল্লাহ সাঃ দিয়েছেন। যেমন- আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ )
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। (সহীহ বুখারী-৬০৬৯,সহীহ মুসলিম-২৯৯০)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/906

https://www.ifatwa.info/1855 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
ইমাম নববী রাহ বলেন,
" قَالَ الْعُلَمَاء : كَانَ الصَّوَاب فِي حَقّه إِجَابَتهَا لِأَنَّهُ كَانَ فِي صَلَاة نَفْل , وَالِاسْتِمْرَار فِيهَا تَطَوُّع لَا وَاجِب , وَإِجَابَة الْأُمّ وَبِرّهَا وَاجِب , وَعُقُوقهَا حَرَام , وَكَانَ يُمْكِنهُ أَنْ يُخَفِّف الصَّلَاة وَيُجِيبهَا ثُمَّ يَعُود لِصَلَاتِهِ ... " انتهى
উলামায়ে কেরাম বলেন,জুরাইজের উচিৎ ছিলো,মায়ের ডাকের জবাব দেয়া।কেননা উনিতো নফল সালাতে ছিলেন।নফল নামাযকে সম্পন্ন করা মুস্তাহাব।ওয়াজিব নয়।অন্যদিকে মায়ের ডাকে জবাব দেয়া এবং মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা ওয়াজিব।এবং মায়ের নাফরমানি করা হারাম।উনার জন্য সম্ভব ছিলো যে,নামাযকে সংক্ষেপণ করে মায়ের ডাকে জবাব দেয়া উনার জন্য সম্ভব ছিলো।অতঃপর ফিরে গিয়ে আবার নামাযকে সমাপ্ত করবেন।(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২০/৩৪২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিজে সংশোধন হওয়ার নিমিত্তে কোনো মুফতির নিকট বা বন্ধু-বান্ধবের কাছে নিজের কৃত পাপ সম্পর্কে অবগত করা যাবে।এতে কোনো গোনাহ হবে না।তবে এমনি এমনি কারো কাছে নিজের গোনাহকে প্রকাশ করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...