আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
611 views
in সালাত(Prayer) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম
নামাজে জামা গুটানোর ব্যাপারে পুরুষদের জন্যে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা বা হুসিয়ারি সম্পর্কে জানাবেন।
আর এ জামা গুটানো কি পায়ের জামা গুটানো নাকি পাঞ্জাবীর হাতা গুটালেও একই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে?
জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


পোশাকের প্রধান উদ্দেশ্যই হল সতর ঢাকা।

 আল্লাহ তাআলা বলেন,

 يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْءَاتِكُمْ وَرِيشًا ‘


হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং সৌন্দর্য দান করে।’ (সূরা আ’রাফ ২৬)

পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে নিয়ে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। পক্ষান্তরে মহিলাদের হাত, পা, মুখ ছাড়া পূর্ণ শরীরই সতর।

সুতরাং এতটুকু সতর পুরোপুরি ঢেকে নামাজ আদায় করলেই নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

★শরীয়তের বিধান মতে হাফ হাতা জামা বা শার্ট পরে নামায আদায় করা অনুত্তম।
(হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ১৯৯; রদ্দুল মুহতার ১/৪৫৭)

হাফ হাতা শার্ট অথবা গেঞ্জি অথবা টি-শার্ট যেগুলো আছে, সেগুলো পরে যদি কেউ সালাত আদায় করে, তাহলে হয়ে যাবে। সালাত না হওয়ার কোনো কারণ এখানে নেই।

আর স্যান্ডো গেঞ্জি যেগুলো আছে, সেগুলো পরে যদি কেউ সালাত আদায় করেন, তাহলে তাঁর সালাত মাকরুহ হয়ে যাবে। কাঁধের ওপর যদি কোনো কাপড় দেওয়া থাকে বা চাদর দেওয়া থাকে, তাহলে তাঁর সালাত হয়ে যাবে। মূল কথা হলো, সালাতের সময় কাঁধ ঢাকতে হবে তাঁকে।
(ইফতা বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।)

এমন শালীন পোশাক যা পরিধান করে মানুষ মান সম্মত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে এবং উপযোগী হিসেবে মনে করে এমন পোশাক পরিধান করে নামায পড়া উচিত। যে পোশাক পরিধান করে মানসম্মত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে মানুষ অপছন্দ করে এমন পোশাক পরিধান করে নামায পড়া মাকরূহে তানজিহী।

এ মূলনীতির আলোকে যেহেতু বুজুর্গানে দ্বীনের মজলিস বা রাষ্ট্রীয় মজলিসে হাফ হাতা শার্ট পরিধান করে যাওয়াকে অপছন্দ করা হয়, তাই এরকম কাপড় পরিধান করে নামায পড়া খেলাফে সুন্নত তথা মাকরূহে তানজিহী হবে। অন্য কোন কাপড় না থাকলে মাকরূহ হবে না।

★★★সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি কনুই পর্যন্ত হাতা গুটিয়ে নামাজ আদায় করে,তাহলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে ঠিকই,তবে মাকরুহে তানযিহি হবে।
الإستفسار صلى رافعا كمى قيسصه الى المرفقين هل يجوز الصلاة الإستبشار؟ نعم لكن يكره كذا فى فتاوى قاضيخان- (نفع المفلى والسائل-65، فتح القدير-1/418، قاضيخان على هامش الهندية-1/135

সারমর্মঃ
কেহ কনুই পর্যন্ত নিজ জামা গুছিয়ে এভাবে নামাজ পড়া জায়েজ আছে,তবে মাকরুহ হবে। 

আরো জানুনঃ 
,
★যদি আগে থেকে হাতা গুটানো না হয়ে নামাজের মধ্যেই হাতা গুটানোর বিষয় এখানে উদ্দেশ্য হয়ে থাকে,তাহলে বিধান হলো এখানে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সময় ব্যায় হয়ে আমলে কাসীর হওয়ার  প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এটির অনুমোদন নেই।
,
আমলে কাসির সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 235 views
0 votes
1 answer 146 views
...