জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
(তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন-
يا أيها الناس! إن الله كتب عليكم الحج، فحجوا، فقال رجل : أكل عام يا رسول الله؟ فسكت حتى قالها ثلاثا، ثم قال : لو قلت نعم لوجبت ولما استطعتم.
হে মানবসকল! আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর হজ্ব ফরয করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ্ব করো। এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! প্রতি বছর কি হজ্ব করতে হবে? তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে তা (প্রতি বছর হজ্ব করা) ফরয হয়ে যেতো, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৩৭ (৪১২); মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১০৬০৭; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৩৭০৪; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ২৫০৮; সুনানে নাসায়ী ৫/১১০; শরহে মুশকিলুল আছার, হাদীস : ১৪৭২; সুনানে দারাকুতনী ২/২৮১)
.
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির উপর হজ আর ফরজ হবেনা।
প্রথম হজ্বটাতেই তার ফরজ আদায় হয়ে যাবে।
فَإِنَّهُ يَسْقُطُ عَنْهُ الْفَرْضُ حَتَّى لَوْ اسْتَغْنَى لَا يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَحُجَّ، (منحة الخالق على البحر الرائق-2/546)
সারমর্মঃ
কেননা তার পক্ষ থেকে ফরজ সাকেত হয়ে যাবে।
এখন যদি সে ধনী হয়ে যায়,তার উপর আর হজ ফরজ হবেনা।
,
(০২)
প্রথমবারের হজ্বেই ফরজ আদায় হয়ে যাবে।
,
(০৩)
যদি কেহ হজ আদায়ের সময় নফল অথবা মান্নতের হজের নিয়ত করে,তাহলে এর দ্বারা ফরজ হজ আদায় হবেনা।
(উমদাতুল ফিকাহ ৬৭৯,৬৮৩)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিনি নফল হজের নিয়তে হজ করলে সেটি নফল হবে।
পরবর্তীতে আবার ফরজ হজ আদায় করতে হবে
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে এই ১ম হজের সময় ফরজ হজের নিয়ত করবে।
তাহলে আর কোনো সমস্যা হবেনা।
ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে ।