আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
edited by
১/ কোনো বিষয়ে আমার ধারণা একটা বস্তু নাপাক।কিন্তু সেই মুহুর্তে সেটা পাক হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি আমার কাছে রয়েছে।তখন আমি কী ঐ বস্তুকে পাক ধরব।না সতর্কতামুলক নাপাক ধরব।এটা আমার মধ্যে অনেক দ্বিধা দ্বন্দের সৃষ্টি করে।

২/ ১০০ লিটার পাক পানিতে ৯০ লিটার ব্যবহৃত পানি পড়লে সেই ১৯০ লিটার পানি কী গোসল,ওজুতে ব্যবহার করা যাবে।

বালতিতে নাপাকি লাগলে আমি সেটাকে ৫ বার ধুয়ে না মুছে সেইটা পানিভর্তি করে গোসল করেছি।আমার গোসলে কী সমস্যা হবে।৩ বার ধোয়ার পর কী শুকানো আবশ্যক।বালতি।ুটা খুবই সমস্যাজনক।

আমি সবসময় একটা বালতিতে নাপাকি লাগলে সেটা কমপক্ষে ৩/৪ বার ধুই।এরপর এমনভাবে বালতি ঝারা দেই যাতে কোনো পানি বালতি দিয়ে গড়াবে না।কিন্তু বালতওর গায়ে কিছু পানি থাকে।সেগুলো সবসময় ভালোভাবে শুকানো হয় না।এখন আমি কী এভাবে করে বালতি পরিষ্কার করতে পারি।সবাময় আমি এভাবেই করি। এবংংগোসল,ওজু করে সালাত আদদয় করি।নাপাকি নিয়েসন্দেহ হলে করণীয় কী।

৪/নাপাক কাপড় ৩ বার ধোয়ার পর রশিতে পানি নিংংরানোর জন্য মেলতে দিলে পানি টপকে পড়ি নিআ দিয়ে আর।কাপড় ভিজা থাকাট জন্য উপরে রশি কাপড়ের সাথে লেগে ভিজে যায়।তখন রশি কী নাপাক।যেহেতু টপকানো পানি নয়।বরংংকাপড় সাথে লেগে রশি ভিজে যায়।

 ৫/ বাচ্চাকে প্রসাব করানোর পর যদি পায়ে পায়ের তলায় প্রসাব লাগলে যদি শুধু পানি ঢেলে দিই তাহলে কী পা নাপাক থাকবে।এ কাজটা করার অনেক পরে এ কথা মনে আসে।এখন মনে হচ্ছে এটা ওয়াসওয়াসা।আবার মনে হয় সতর্কতামুলক সব কিছু আবার পরিষ্কার করতে হবে।যা করা খুবই কষ্টকর।এখন কী করতে পারি।আমি অত্যধিক তাহারাত ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।

৬/ ঘুমালে যে চোখের পাশে কেতর জমা হয় তা কী নাপাক

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) কোনো জিনিষে নাপাকি লাগার বিশ্বাস হওয়ার পর আর পাকের যুক্তির কোনো গ্রহণযোগ্যতা নাই।বরং উক্ত জিনিষকে নাপাক হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/293

যদি আপনার পূর্ব থেকে অজু থাকে,তাহলে এখন অজু রয়েছে কি না? সেই সন্দেহের দ্বারা আপনার অজু নষ্ট হবে না।কেননা ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,
যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃ পূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।(অাল-আশবাহ ওয়াননাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1244

(২)জ্বী,গোসল অজুতে ব্যবহার করা যাবে,যেহেতু আধিক্য হল,পবিত্র পানি।

(৩)বালতিকে তিনবার ধৌত করলেই হবে। এদ্বারা বালতি পবিত্র হয়ে যাবে। আপনার পবিত্রকরণ পদ্ধতি বিশুদ্ধ রয়েছে। 

(৪)না রশি নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 132 views
0 votes
1 answer 227 views
0 votes
1 answer 200 views
0 votes
1 answer 137 views
...