আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
266 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আমার আল্লাহকে খুব আপন মনে হয় তার সাথে আমি সব সময় আমার মনে কথা, কষ্ট ইত্যাদি শেয়ার করি। এক সময় একজনকে আমি প্রচুর ভালোবেসে ফেলেছিলাম। তার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছা করতে। তখন আল্লাহকে বলতাম এবং একদিন সেই মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয় কিন্তু সমাজের জটিলতার কারনে আমি তাকে বিয়ে করতে পারি নি তখন। বিয়ে করার প্রবল আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও সম্ভব হয়ে উঠেনি তার জন্য আমি হারাম রিলেশনশিপে জরিয়ে পড়ি কিন্তু এই রিলেশনশিপটি ছিল শুধুমাত্র কথা বলার মধ্যেই আবদ্ধ মাঝে মাঝে দেখা হতো। আমি আল্লাহর কাছে খুবই লজ্জিত ছিলাম এটির জন্য। প্রায় ২ বছর পড়ে সে আমার সাথে আর সম্পর্কটি কন্টিনিউ করতে চায় না। আসলে তার পারিবারিক ব্যাপারের জন্য সে এমনটা করে। কিন্তু আমরা দুজনই দুজনকে অনেক ভালোবাসতাম৷
এখন তার জন্য আমার খুব মন খারাপ হয়, কথা বলতে ইচ্ছে হয়। তাই আল্লাহর কাছে তাকে আবার হালাল ভাব ফিরে পাওয়ার জন্য দোয়া করি। এমন সময় অনেকেই বলে যে হারাম কাজ করে আল্লাহর কাছে দোয়া চাচ্ছ এই দোয়া হবে না ইত্যাদি নেতিবাচক কথা। আমি মনে করি আল্লাহতো দয়ালু। তিনি তো বুঝছেন আমার কষ্টটি, আমি যদি তার কাছে দোয়া করি একদিন তো তিনি সবকিছু ঠিক করে দিতে পারেন। আপনি কি আমার ভাবনার সাথে একমত? আর আমার কি তাকে আবরো ফিরে পাওয়ার দোয়া করা উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো  নির্দিষ্ট কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে কামনা করে দোয়া করা উচিত নয়। উচিত হচ্ছে, আল্লাহর কাছে উত্তমটা চাওয়া। আল্লাহর পক্ষে আপনার ধারণা থেকেও উত্তম জীবনসঙ্গী দেয়া কোন বিষয়ই না। 

তবে লেহ যদি এজাতীয় দোয়া করতে চায়,  তাহলে এভাবে দোয়া করবে, যে, ‘হে আল্লাহ! যদি সে আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে তাকে আমার জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করুন।’

কেননা, অনেক সময় এমন হয়, আজ যে জিনিস পাওয়ার জন্য আমরা উদগ্রীব থাকি, দু’ দিন পরই তা পেয়েছি বলে উৎকণ্ঠিত হই। আবার আজ যা থেকে দূরে সরে থাকার ব্যাপারে চেষ্টিত থাকি, কয়েক দিন পর তা পেয়েছি বলে আনন্দিত হই। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারা ২১৬)
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে দোয়া করা জায়েজ আছে, যে, ‘হে আল্লাহ! যদি সে আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে তাকে আমার জন্য হালাল ভাবে জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করুন।’


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জনাব আমি তার নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য কি দোয়া করতে পারব? কিভাবে করব দোয়া?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...