শরীয়তের বিধান অনুপাতে জাহায বা জাহীয হচ্ছে, কন্যাকে দেওয়া পিতার উপহার। স্বামী বা শ্বশুরালয়ের কেউ এর মালিক নয়, এর মালিক কন্যা নিজে। পিতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কন্যাকে তা দিয়ে থাকে। এতে স্বামী ও শ্বশুরালয়ের দাবি ও চাপাচাপি তো দূরের কথা, কন্যার পক্ষ থেকেও কোনো দাবি থাকে না। এটা নামধামের জন্য দেওয়া হয় না। যৎসামান্য উপহার পিতা নিজের সামর্থ্য অনুসারে কন্যাকে দিয়ে থাকেন।
এই উপহার বিয়ের সময় দেওয়া জায়েজ আছে, তবে মুস্তাহাব নয়; নিছক মুবাহ।
যদি না কোনো সামাজিক চাপ কিংবা প্রথাগত বাধ্য-বাধকতা থাকে। অন্যথায় তা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম হয়ে যায়।
হাদীস শরীফে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছেন-
ألا ولا يحل لامرئ من مال أخيه شيء إلا بطيب نفس منه
সাবধান! কারো জন্য তার ভাইয়ের কিছুমাত্র সম্পদও বৈধ নয়, যদি তার স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি না থাকে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৪৮৮; সুনানে দারাকুতনী, হাদীস : ২৮৮৩; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস : ৫৪৯২
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি উল্লেখিত সামগ্রী সামাজিক চাপে কিংবা প্রথাগত বাধ্য-বাধকতা নয়,বরং মেয়ে পক্ষ সন্তুষ্টি চিত্তেই যদি এই উপহার দিয়ে থাকে,তাহলে তাহা গ্রহন করা জায়েজ আছে।
,
অন্যথায় জায়েজ নয়।
,
(০২)
যদি সামাজিক চাপে কিংবা প্রথাগত বাধ্য-বাধকতা নয়,বরং মেয়ে পক্ষ সন্তুষ্টি চিত্তেই যদি এই দাওয়াতের ব্যবস্থা করে,তাহলে সেই দাওয়াত খাওয়া জায়েজ আছে।
,
তারপরেও এটি মেয়ে পক্ষের উপর একটি চাপ সৃষ্টি হয়।
তাই অল্প সংখ্যক লোক যাওয়াই উচিত।
এমন সময় যাওয়া ভালো,যেই সময়ে গেলে তাদের বড় আয়োজন না করতে হয়।
যেমন আছরের পর ইত্যাদি।