আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
294 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।

উপমহাদেশে বিয়ের সময় মেয়েপক্ষের পরিবারের তরফ থেকে ছেলেকে কাপড়চোপর, প্রসাধনী ইত্যাদি সামগ্রী উপহার দেওয়ার রেওয়াজ আছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের উপহারসামগ্রী বড় লাগেজ এ গুছিয়ে পাঠানো হয়। এ ধরনের উপহারসামগ্রী গ্রহণ ছেলের জন্য কি জায়েজ হবে?


এছাড়াও, ছেলেপক্ষের অভিভাবক মেয়েকে দেখতে যাওয়ার সময় মেয়ের বাসায় অনেক খাবার দাবারের আয়োজন করা হয়। এহেন মেহমানদারী কবুল করা কি জায়েজ হবে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুপাতে  জাহায বা জাহীয হচ্ছে, কন্যাকে দেওয়া পিতার উপহার। স্বামী বা শ্বশুরালয়ের কেউ এর মালিক নয়, এর মালিক কন্যা নিজে। পিতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কন্যাকে তা দিয়ে থাকে। এতে স্বামী ও শ্বশুরালয়ের দাবি ও চাপাচাপি তো দূরের কথা, কন্যার পক্ষ থেকেও কোনো দাবি থাকে না। এটা নামধামের জন্য দেওয়া হয় না। যৎসামান্য উপহার পিতা নিজের সামর্থ্য অনুসারে কন্যাকে দিয়ে থাকেন।

এই উপহার বিয়ের সময় দেওয়া জায়েজ আছে, তবে মুস্তাহাব নয়; নিছক মুবাহ।

যদি না কোনো সামাজিক চাপ কিংবা প্রথাগত বাধ্য-বাধকতা থাকে। অন্যথায় তা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছেন-

ألا ولا يحل لامرئ من مال أخيه شيء إلا بطيب نفس منه

সাবধান! কারো জন্য তার ভাইয়ের কিছুমাত্র সম্পদও বৈধ নয়, যদি তার স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি না থাকে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৪৮৮; সুনানে দারাকুতনী, হাদীস : ২৮৮৩; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস : ৫৪৯২

وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। 
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি উল্লেখিত সামগ্রী সামাজিক চাপে কিংবা প্রথাগত বাধ্য-বাধকতা নয়,বরং মেয়ে পক্ষ সন্তুষ্টি চিত্তেই যদি এই উপহার  দিয়ে থাকে,তাহলে তাহা গ্রহন করা জায়েজ আছে। 
,
অন্যথায় জায়েজ নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
যদি সামাজিক চাপে কিংবা প্রথাগত বাধ্য-বাধকতা নয়,বরং মেয়ে পক্ষ সন্তুষ্টি চিত্তেই যদি এই দাওয়াতের ব্যবস্থা করে,তাহলে সেই দাওয়াত খাওয়া জায়েজ আছে।
,
তারপরেও এটি মেয়ে পক্ষের উপর একটি চাপ সৃষ্টি হয়।
তাই অল্প সংখ্যক লোক যাওয়াই উচিত। 
এমন সময় যাওয়া ভালো,যেই সময়ে গেলে তাদের বড় আয়োজন না করতে হয়।
যেমন আছরের পর ইত্যাদি।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...