বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) নামায পড়ার সময় মুখমন্ডল নাড়ানো নিষেধ নয়, তবে সমস্ত মাথা নাড়ানো নিষেধ । কিরাত পড়তে যত নাড়ানোর প্রয়োজন হয়, ততটুকু নাড়ানোর অনুমোদন রয়েছে।
(২) প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী খিমারের নিচে বুকে হাত বাধাতে কোনো সমস্যা হবে না। অর্থাৎ বুকে হাত বাধা অবস্থায় হাতের উপর কাপড় থাকলে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩) নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
একবার উচ্ছারিত হয়ে গেলেই নামায ফাসিদ হয়ে যায়।দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলেও আর নামায বিশুদ্ধ থাকবে না।
ভূল উচ্ছারণের সময়ে আপনার নামায বিশুদ্ধ থাকছে কি না? সেই উচ্ছারণ কোনো মুফতির নিকট উল্লেখ করলেই বুঝতে পারবেন যে,আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে কি না?
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো আয়াতকে দুই বার পড়ে নিলে বা মাখরাজে ভুল হলে এবং অর্থ না বদলিলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। এবং সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।