ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ
এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সূরা হাজ্ব-৩৭)
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেবাস ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-১৮১১
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ভাগে কুরবানীতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজিরা যদি বে-নামাজির সাথে কুরবানী দেয়, তাহলে তা নাজায়েয হবে না। বরং সবার কুরবানি আদায় হবে। কুরবানির পশু মারা গেলে নতুন করে আরেকটি পশু ক্রয় করে কুরবানি দিতে হবে।
যে ব্যক্তি গোশত খাওয়ার জন্য কুরবানি দেয়, তার সাথে অন্য কেউ শরীক হয়ে কুরবানি দিলে অথবা সাত জনের কোনো একজনের উদ্দেশ্য গোশত থাকলে কারো কুরবানি-ই হবে না।
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪)
আর গোশত যে তিন ভাগ করে তার ৩য় ভাগটি কি অন্যান্য কুরবানি দাতারা নিতে পারবেন কি না?
আপনার এই প্রশ্নটি আমরা বুঝিনি। আমাদের কে বুঝিয়ে বলবেন।