ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথমেই জেনে রাখা ভাল যে,
ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকা'তে ক্বেরাত পড়া ওয়াজিব।চার রাকাত বিশিষ্ট পরবর্তী দুই রাকা'তে ক্বেরাত পড়া মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া;৩/৭১)
মাসবুক ব্যক্তির নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
أنه يقضي أول صلاته في حق القراءة وآخرها في حق التشهد حتى لو أدرك ركعة من المغرب قضى ركعتين وفصل بقعدة فيكون بثلاث قعدات وقرأ في كل فاتحة وسورة ولو ترك القراءة في إحداهما تفسد.
মাসবুক ব্যক্তি ক্বেরাত হিসেবে প্রথম থেকে নামাযকে সম্পূর্ণ করবে।এবং তাশাহুদ বৈঠক হিসেবে নামাযের শেষদিককে লক্ষ্য রাখবে।
বিস্তারিত ব্যখ্যা এই যে,
কেউ যদি মাগরিবের শেষ রাকা'ত কে পায়,তাহলে সে দুই রাকা'ত কাযা করবে।এমতাবস্থায় তার তিন রাকা'তেই বৈঠক হবে।(কেননা তার প্রথম রাকা'ত যা ইমামের শেষ বৈঠক ছিলো।তাতে ও সে বৈঠক করেছিলো,এবং পরবর্তী রাকা'তে ও সে বৈঠক করেছে যেহেতু তা তার দ্বিতীয় রাকা'ত,এবং তৃতীয় রাকা'তে ও বৈঠক করেছে যেহেতু তা তার শেষ বৈঠক)এবং সে পরবর্তী দুনু রাকা'তে সূরা ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরাকে মিলিয়ে পড়বে।সে যদি কোনো রাকা'তে ক্বেরাত পরিত্যাগ করে নেয় তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
ولو أدرك ركعة من الرباعية فعليه أن يقضي ركعة يقرأ فيها الفاتحة والسورة ويتشهد ويقضي ركعة أخرى كذلك ولا يتشهد وفي الثالثة بالخيار والقراءة أفضل. هكذا في الخلاصة.
আর যদি চার রাকা'ত বিশিষ্ট ফরয নামাযে কেউ ইমামের সাথে শরীক হয়, এবং সে ইমামের সাথে শেষ এক রাকা'ত পায়,তাহলে সে পরবর্তী রাকা'তে সূরা ফাতেহার সাথে মিলিয়ে ভিন্ন একটি সূরা পড়বে।অতঃপর তাশাহুদ পড়বে।এরপর দ্বিতীয় রাকা'তে ও অনুরূপ সূরায়ে ফাতেহার সাথে মিলিয়ে ভিন্ন একটি সূরা পড়বে।কিন্তু তাশাহুদ বৈঠক করবে না।এরপর তৃতীয় রাকা'তে তার এখতিয়ার থাকবে,সে চাইলে ক্বেরাত পড়তেও পারবে আবার না চাইলে না ও পড়তে পারবে।(কেননা তাতে ক্বেরাত পড়া মুস্তাহাব)(খুলাসাহ) (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সম্পূর্ণ নামাযকে কাযা করবেন। কেননা নামাযের সূচনা ইমাম সাহেবের সাথে হয়েছিলো, যখন প্রথম রাকাতই হয়নি, তাই পরবর্তীতে আর রাকাতই বিশুদ্ধ হবে না।