আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আমার কাছে এক বোন একটি প্রশ্ন  জানতে চেয়েছেন।তার প্রশ্নটি হুবুহু তুলে দিলাম-

"আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহর গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে নামের পূর্বে ইয়া বা আর দেয়া থাকে যেমন,ইয়া- রাহীমু ,আর - রহমান। এ  দুইটার পার্থক্যটা যদি কেউ জানেন তো জানাবেন প্লিজ।"

ইয়া দ্বারা তো সম্বোধন করা হয় জানি।যেমন-ইয়া রব,হে রব।আর বাকি আর-রহমান,আল-কাবির এরকম মূল নামের পূর্বে আর,আল এগুলা মূলত কী?ইয়া ব্যবহারের সাথে এর পার্থক্য কী?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইয়া দ্বারা তো সম্বোধন করা হয়,যেমন-ইয়া রব,হে রব। আর আল বা আর মূলত সুন্দ্যর্যর জন্য এখানে রাখা হয়েছে। আরবী ব্যাকরণগত কারণে আর বা আল হয়ে থাকে।” আল” অনেক অর্থে এসে থাকে। 

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗُﻞِ ﺍﺩْﻋُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺃَﻭِ ﺍﺩْﻋُﻮﺍْ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦَ ﺃَﻳًّﺎ ﻣَّﺎ ﺗَﺪْﻋُﻮﺍْ ﻓَﻠَﻪُ ﺍﻷَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ-
(হে নবী আপনি) বলুনঃতোমরা  আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই তোমরা আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই।(সূরা বনী ইসরাঈল-১১০)

 ﻭَﻟِﻠّﻪِ ﺍﻷَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ ﻓَﺎﺩْﻋُﻮﻩُ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﺫَﺭُﻭﺍْ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﻠْﺤِﺪُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺃَﺳْﻤَﺂﺋِﻪِ ﺳَﻴُﺠْﺰَﻭْﻥَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ 
আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে।
নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই তারা পাবে।(সূরা আ'রাফ ১৮০)
ﺳﺒﺢ ﺍﺳﻢ ﺭﺑﻚ ﺍﻷﻋﻠﻰ
অর্থ, তোমার প্রভূর নামের তাসবীহ পাঠ কর।
ﻗﺪ ﺃﻓﻠﺢ ﻣﻦ ﺗﺰﻛﻰ ﻭﺫﻛﺮ ﺍﺳﻢ ﺭﺑﻪ ﻓﺼﻠﻰ
এ আয়াতের মাঝেও বলাহয়েছেঃ প্রকৃত সফলকাম ঐ ব্যক্তি যে তার রবের নামের যিকির করে ৷(সূরাঃ আ'লা-১৪-১৫)

এবং নবীজী সাঃ বলেনঃ
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ; ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﺗِﺴْﻌَﺔً ﻭَﺗِﺴْﻌِﻴﻦَ ﺍﺳْﻤًﺎ ﻣِﺎﺋَﺔً ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺼَﺎﻫَﺎ ﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ
নবীজী সাঃ বলেন,নিশ্চয় আল্লাহর নিরান্নব্বইটা নাম রয়েছে,যে ব্যক্তি তা ঈমান ও আমলের সাথে ডাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(সহীহ বুখারী-২৭৩৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 354 views
...