শরীয়তের বিধান মতে রোযা (চাই তাহা ফরজ রোযা হোক,চাই নফল রোযা হোক) রাখার জন্য সেহরি খাওয়া জরুরি নয়; তবে সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السُّحُورِ بَرَكَةً " .
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও, কেননা, সাহরী খাওয়ার মধ্যে বারকাত আছে।
সহীহ : বুখারী ১৯২৩, মুসলিম ১০৯৫, তিরমিযী ৭০৮, নাসায়ী ২১৪৬, ইবনু মাজাহ ১৬৯২, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৭৫৯৮, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৮৯১৩, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৯৩৭, আহমাদ ১১৯৫০, দারিমী ১৭৩৮, সহীহ আত্ তারগীব ১০৬৩।
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।’-মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৩৪৭৬
সুতরাং সেহরী না খেলে সুন্নাত আদায় হয় না;তবে রোজার কোন ক্ষতি হয় না। রোজা হয়ে যায়।
(উমদাতুল কারী ১০/৩০০; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৯)