জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মায়ের স্পর্শ করার সময় লিঙ্গ শক্ত হয়ে দুই রানের মাঝে থাকা কোলবালিশে চাপ দিয়েছিলো,এখানে যেহেতু লিঙ্গ আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলো,আর সেই সময়ে শক্ত হয়ে গিয়েছিলো তথা উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিলো,এক্ষেত্রে যেহেতু কোলবালিশে সাথে সাথে চাপ লেগেছিলো,আর লিঙ্গ দাড়ানো অবস্থায় শক্ত হওয়া যেহেতু স্বাভাবিক ব্যাপার,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে "বিনা কামভাবে স্বাভাবিক ভাবে লিঙ্গ যেই শক্ত হয়েছে তখনই মা স্পর্শ করেছে"
এখানে যেহেতু লিঙ্গ স্পর্শের আগেই (নুন্যতম এক সেকেন্ড আগে হলেও) শক্ত হয়েছে,তাই এতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
,
কিন্তু স্পর্শ করার সময়েই যদি লিঙ্গ শক্ত হয়ে যায়,এতে যদি কোলবালিশ ইত্যাদির স্পর্শ লিঙ্গ শক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকমের কারন না হয়,বরং মায়ের স্পর্শই কারন হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।
,
অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
(০২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺎﺀ ﺑَﺸَﺮًﺍ ﻓَﺠَﻌَﻠَﻪُ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻭَﺻِﻬْﺮًﺍ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻗَﺪِﻳﺮًﺍ
তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম।(সূরা ফুরক্বান-৫৪)
হুরমতে মুসাহারাত অর্থ হল, নিকটাত্মীয় কে সম্মান প্রদর্শন করা।(হুরমত অর্থ সম্মান+এবং মুসাহারাত অর্থ নিকটাত্মীয়) দুই জন মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক পাওয়া যায় বা সমাজে চলমান রয়েছে,সেটা সাধারণত নসব তথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা রেযা'আত তথা দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে কিংবা মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত থাকে। শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম । কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে। বংশগত সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম যেমন,পিতা তার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না,ইত্যাদি। দুধ সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম,যেমন দুধ সন্তান তার দুধ মাকে/বোনকে বিয়ে করতে পারবে না।বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম, যেমন,জামাই সে তার শাশুড়ী কে বিয়ে করতে পারবে না। বৈবাহিক সম্পর্ক যাকে মুসাহারাত বলে,সেটা কিভাবে প্রতিষ্টিত হবে?আমরা জানি বৈধ বিয়ের মাধ্যমে সেটা প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে।সুতরাং কোনো মানুষ তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এবং তার সন্তানের স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এমনকি সে তার স্ত্রীর মা বা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না।কারণ তাদের সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হয়ে গেছে। যা বিয়েকে বাধা প্রদাণ করে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের ঘর সংসার যেনা হবে।
এতে সারাজীবন যেনার গুনাহ হবে।
,
(০৩)
না, এতে ঐ ছেলের সাথে তার স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
তবে তার যেনা করার গুনাহ হবে।