আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
778 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১. https://ifatwa.info/18726/ এর ক্ষেত্রে,

স্পর্শ করার সময় লিংগ শক্ত হয়ে দুই রানের মাঝে থাকা কোলবালিশে চাপ দিয়েছিল। তাতে কি হুরমতে মুসাহারাত হবে? ঘুমের ঘোরে থাকায় এটিই সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা। আর, লিংগ দাড়ানো হলে শক্ত হওয়া একটি সাভাবিক ব্যাপার। কেননা সেইসময় ঘুমের ঘোরে ছিলাম। এখন, কোন সময় মা স্পর্শ করবে সেটা ত জানা ছিল না। আর এমনো না যে স্পর্শ এর কারণে শক্ত হয়েছে। বিনা কামভাবে সাভাবিক ভাবে লিংগ যেই শক্ত হয়েছে তখনই মা স্পর্শ করেছে বা স্পর্শ এর সময় শক্ত হয়েছে কিন্তু মার স্পর্শ এর জন্য ত আর শক্ত হয়নি, এতে হুরমতে মুসাহারাত কেন হবে?
২. হুরমতে মুসাহারাত এর জন্য যাদের বিয়ের সম্পর্ক হারাম হবে তারা সেটা না জানলে ও সংসার করলে তাদের কি গুনাহ হবে? না যার জন্য হয়েছে তার গুনাহ হবে? গুনাহ কি সারাজীবন চলবে?
৩. কোন ছেলে অন্য কোন মেয়ের সাথে যিনা করলে কি তার স্ত্রী হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মায়ের স্পর্শ করার সময় লিঙ্গ শক্ত হয়ে দুই রানের মাঝে থাকা কোলবালিশে চাপ দিয়েছিলো,এখানে যেহেতু লিঙ্গ আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলো,আর সেই সময়ে শক্ত হয়ে গিয়েছিলো তথা উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিলো,এক্ষেত্রে যেহেতু কোলবালিশে সাথে সাথে চাপ লেগেছিলো,আর লিঙ্গ দাড়ানো অবস্থায় শক্ত হওয়া যেহেতু স্বাভাবিক ব্যাপার,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে "বিনা কামভাবে স্বাভাবিক ভাবে লিঙ্গ যেই শক্ত হয়েছে তখনই মা স্পর্শ করেছে"

এখানে যেহেতু লিঙ্গ স্পর্শের আগেই (নুন্যতম এক সেকেন্ড আগে হলেও) শক্ত হয়েছে,তাই এতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,
কিন্তু স্পর্শ করার সময়েই যদি লিঙ্গ শক্ত হয়ে যায়,এতে যদি কোলবালিশ ইত্যাদির স্পর্শ লিঙ্গ শক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকমের কারন না হয়,বরং মায়ের স্পর্শই কারন হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।
,
অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।        

(০২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

 ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺎﺀ ﺑَﺸَﺮًﺍ ﻓَﺠَﻌَﻠَﻪُ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻭَﺻِﻬْﺮًﺍ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻗَﺪِﻳﺮًﺍ 

তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম।(সূরা ফুরক্বান-৫৪) 

হুরমতে মুসাহারাত অর্থ হল, নিকটাত্মীয় কে সম্মান প্রদর্শন করা।(হুরমত অর্থ সম্মান+এবং মুসাহারাত অর্থ নিকটাত্মীয়) দুই জন মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক পাওয়া যায় বা সমাজে চলমান রয়েছে,সেটা সাধারণত নসব তথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা রেযা'আত তথা দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে কিংবা মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত থাকে। শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম । কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে। বংশগত সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম যেমন,পিতা তার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না,ইত্যাদি। দুধ সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম,যেমন দুধ সন্তান তার দুধ মাকে/বোনকে বিয়ে করতে পারবে না।বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম, যেমন,জামাই সে তার শাশুড়ী কে বিয়ে করতে পারবে না। বৈবাহিক সম্পর্ক যাকে মুসাহারাত বলে,সেটা কিভাবে প্রতিষ্টিত হবে?আমরা জানি বৈধ বিয়ের মাধ্যমে সেটা প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে।সুতরাং কোনো মানুষ তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এবং তার সন্তানের স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এমনকি সে তার স্ত্রীর মা বা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না।কারণ তাদের সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হয়ে গেছে। যা বিয়েকে বাধা প্রদাণ করে। 
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের ঘর সংসার যেনা হবে।
এতে সারাজীবন যেনার গুনাহ হবে।
,
(০৩)
না, এতে ঐ ছেলের সাথে তার স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
তবে তার যেনা করার গুনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...