আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
179 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (18 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

১/আমি আলহামদুলিল্লাহ ইবাদত করার চেষ্টা করি

কিন্তু আমার অনেক সময় মনে হয় আমি মুরতাদ হয়ে গেছি।

যেমনঃ সালাত আদায় করা শুরু করলে আমার অন্তরে একটা কথা মনে পড়ে।আমি মুরতাদ।মনে হয় আমি এ সাক্ষ্য াান্তর দ্বারা দিয়ে দিয়ে ছি। আমি     কূ সত্যি এ কাজ করেছিলাম

 ২/ আমার মাথায় একটা কথা চিন্তা আসে। আমি মুরতাদ / হতে চাই।এমন চিন্তা আসার সাথে সাথে আমি কালেমা পড়ি।এমন কথা অন্তরে আসলে কী ইমান চলে যায়।এগুলো কী ওয়াসওয়াসা।

এমন চিন্তা আসলে কিংবা যদি ৃনে হয় আমি এই কথা হয়তো বলেছি তাহলে লী আমার আমল সব বাতিল।আমি কী ইসলামচ্যুত।আমি মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত।

৩/ শরী থেকে সামান্য েেুজ/ পানি বের হল।সেটা খুব সামান্য যা গড়িয়ে পড়ার মত না।এক দিরহাম এট অর্ধেক হবে যদি জামায় লাগে।

এতে ওজু কী ভাংগে।জামা নাপাক হয়।

রক্ত পুজ বা পানি বের হয়ে যদি না গড়িয়ে পড়ার মত হয় তাহলে কী ওজু ভেঙে যাবে।

৪/ ভবিষ্যতে যেই বিষয় ঘটবেই তাতে কী ইনশাআল্লাহ বলতে হবে।যেমন ঃদাজ্জাল,ঈসা আঃ দুনিয়ার আগমন। এ বিষয়ে কিছু বললে কী ইনশাআল্লাহ বলতে হবে।

৫/ এক ব্যক্তি বিপদে পড়ল।এখন তাকে মিথ্যা বানিয়ে কথা বলতে হবে।না হলে হয় সে অপমানিত হবে/ শিরক ও বিদাত করতে হবে।এখন সে কী করবে।

৬/ কেউ এমন কোনো কথা বলল যা ইমান চলে যাওয়ার মত।কিন্তু সে কোনোমতেই সেটা জানত না।এতে তার ইমান৷ কী চলে যাবে।।

৭/ কিয়ামতের দিন রাসুল সাঃ ব্যতীত সকল নবী রাসুলরা ভীত থাকবেন।এর মানে কী।সকল নবী রাসুলরাই তো নিষ্পাপ।তাহলে তারা কূ কারণে ভীত থাকবেন।মুসা আঃ যে এক ঘুষিতে এক লোককে মেরে ফেলে। এর জন্য কী তিনি শাস্তি পাবেন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ( ﺟَﺎﺀَ ﻧَﺎﺱٌ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺴَﺄَﻟُﻮﻩُ ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺠِﺪُ ﻓِﻲ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻳَﺘَﻌَﺎﻇَﻢُ ﺃَﺣَﺪُﻧَﺎ ﺃَﻥْ ﻳَﺘَﻜَﻠَّﻢَ ﺑِﻪِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺪْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻤُﻮﻩُ ؟ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻧَﻌَﻢْ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺫَﺍﻙَ ﺻَﺮِﻳﺢُ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ )
কিছু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন,আমাদের অন্তরে অনেক সময় মন্দ চিন্তাভাবনা চলে আসে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,এটা কি সম্ভব?তারা বলল, জ্বী হ্যা।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, মাঝেমধ্যে এমন সন্দেহ মনে উঁকি দেয়াই হল, কামিল ঈমানের পরিচায়ক।(সহীহ মুসলিম-১৩২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনার অনেক সময় মনে হয় যে, আপনি মুরতাদ হয়ে গেছেন, এদ্বারা আপনি মুরতাদ হবেন না। 
(২)
আপনার চিন্তায় আসে যে, আপনি মুরতাদ হতে চান, এদ্বারা আপনি মুরতাদ হবেন না। 

(৩)
শরীর থেকে সামান্য রক্ত বা পুজ এই পরিমাণ বের হলে যা গড়িয়ে পড়ে না, এদ্বারা আপনার অজু ভঙ্গ হবে না। 
(৪) ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার হওয়া বা না হওয়ার বিষয় বলতে গেলে ইনশাআল্লাহ বলতে হবে। 

(৫) এমতাবস্থায় মিথ্যা বলা উনার জন্য জায়েয হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/644

(৬) যেহেতু শরীয়তে উযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য, তাই উক্ত ব্যক্তির ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। 

(৭) সমস্ত নবী রাসূল গণ নিষ্পাপ, এরপরও কিয়ামতের ভয়ানক অবস্থা দেখে তারা ভীত থাকবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...