ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।
কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
প্রতিউত্তরে বলা যায়-
এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-
প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো।কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,
অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪।
মোটকথাঃ জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে,তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।এবং একটি কাফ্ফারা ই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে।
ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/102
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যত রোযা রাখেন নি তত রোযার শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন। কাফফারা আপনাকে দিতে হবে না। আর যত রোযা আপনি রেখে ভেঙ্গেছেন, সেই সব রোযার মধ্যে থেকে যত রোযা খানাপিনার মাধ্যমে ভঙ্গ করেছেন, সেইসব রোযার একটি কাফফারা এবং যত রোযা সহাবাসের মাধ্যমে ভেঙ্গেছেন, সেই সব রোযার একটি কাফফারা আদায় করবেন। সঠিক মনে থাকলে অনুমানের উপর ভিত্তি করে কাযা কাফফারা আদায় করবেন। এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
(২) অনুমান করে যত নামায কাযা হয়েছে সবগুলোর কাযা আদায় করবেন।
(৩) মেয়েদের জন্য সকল প্রকার কালার পরিধান করা জায়েয। তবে পর পুরুষের সামনে আকর্ষণীয় পোষাক পরিধান করে যাওয়া যাবে না।
(৪)কালো ছাড়া অন্য রং এবং প্রিন্টের বোরকা পড়লে কোনো গোনাহ হবে না। যদি পর পরুষের সামনে যাওয়া না হয়।
(৫)বিয়ে এবং অন্য কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার বোরকা গুলো যদি ঠিলেঠালা কিন্তু মোটামুটি কারুকার্য সম্পন্ন হয় ,তাহলে কোনো গোনাহ হবে না যদি সেগুলো পরিধান করে পর পুরুষের সামনে যাওয়া না হয়।
(৬)স্বামী,ভাই, বাবা ওনাদের সামনে থাকার সময় ও কি মাথায় কাপড় দেওয়া আবশ্যক কেননা মাথা সতরের অন্তর্ভুক্ত । তবে ফিতনার আশংখা না থাকলে জামার হাতা কনুই পর্ন্ত খোলা রাখা যেতে পারবে।
মাহরামে আবদী তথা নিজ ভাই বা বোনের ছেলের সামনে ফিৎনার আশঙ্কা না থাকলে বুকের উপরি অংশ,হাত ও বাহুদ্বয় খোলা রাখা জায়েয রয়েছে।তবে ব্রেসিয়ার বা হাতকাটা গেঞ্জি -যা সাধারণত যৌনাবেদনময়ী হয়ে থাকে- এগুলো পড়ে মাহরাম পুরুষের সামনে যাওয়া যাবে না।কেননা এগুলোকে ফিৎনার জন্য তৈরীই করা হয়েছে।মাহরাম মহিলার শরীরের কোন অঙ্গ কতটুকু পর্যন্ত দেখা বৈধ হয়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1493
(৭) আপনার বিবরণমত স্বামীর অনুমতি নিয়ে পূর্ণ পর্দার সাথে উক্ত মেয়ের জন্য চাকুরী করা জায়েয হবে ।
(৮) হাত মোজা পা মোজা গায়রে মাহরামের সামনে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে কোনো শীতিলতা গ্রহণযোগ্য হবে না।