আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১) আমার  বয়স ২৪,অতীতে  আমি রোযা রাখার ব্যাপারে অনেক অসচেতন  ছিলাম।
আমি অনেক রোযা রাখি নাই।
কত রোযা রাখি নাই,তার হিসাব ও আমি জানি না।
এক্ষেত্রে  আমি কি করবো????

২) নামাযের ক্ষেত্রে কিভাবে আদায়  করবো?
আমার এখন কি করা উচিত?

৩) মেয়েদের  কি সবসময় এক রং এর কালো বোরকা- হিজাব ই পড়তে হবে???

৪) কালো ছাড়া অন্য রং এবং প্রিন্টের বোরকা পড়লে কি গুনাহ হবে?
যদি সে বোরকা যথেষ্ট  ঠিলেঠালা হয়???

৫) বিয়ে এবং অন্য কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার বোরকা গুলো যদি ঠিলেঠালা কিন্তুু মোটামুটি  কারুকার্য  সম্পন্ন হয় এতে কি গুনাহ হবে?

৬) স্বামী,ভাই, বাবা ওনাদের সামনে থাকার সময় ও কি মাথায় কাপড়  দেওয়া আবশ্যক?
ওনাদের সামনে জামার হাতা যদি কনুই পর্যন্ত হয় এতে কি সমস্যা  আছে?

৭)কোন মেয়ে  যদি সম্পূর্ণ পর্দার সহিত  স্বামী  চাকরী করা সত্বেও চাকরী করে এরূপ উদ্দেশ্য যে, সে তার নিজস্ব  বেতনের  টাকা দিয়ে মা-বাবার খিদমত(আমার কোন ভাই নাই), গরীব  আত্মীয়- স্বজন  এবং গরীব দুঃখীদের সাহায্য করবে এবং পর্দার সহিত স্বামীর সাথে বিভিন্ন  ইসলামিক স্থান,বাংলাদেশের  বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনে গিয়ে আল্লাহর  অশেষ  নিয়ামত দেখে চোখ জুড়াবে।
এমন নিয়তে পর্দার সহিত  মেয়েরা চাকুরী  করতে পারবে কি?


৮)মেয়েদের  পর্দার জন্য কি হাত মোজা এবং পা মোজা পড়তে হবে?যদি হাত- পা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী  ঘামে,সেক্ষেত্রে  কি কোন শিথিলতা  আছে?

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
https://www.ifatwa.info/2187 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
প্রতিউত্তরে বলা যায়-
এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-
প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো।কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,

অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪।

মোটকথাঃ জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে,তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।এবং একটি কাফ্ফারা ই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে।
ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/102

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যত রোযা রাখেন নি তত রোযার শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন। কাফফারা আপনাকে দিতে হবে না। আর যত রোযা আপনি রেখে ভেঙ্গেছেন, সেই সব রোযার মধ্যে থেকে যত রোযা খানাপিনার মাধ্যমে ভঙ্গ করেছেন, সেইসব রোযার একটি কাফফারা এবং যত রোযা সহাবাসের মাধ্যমে ভেঙ্গেছেন, সেই সব রোযার একটি কাফফারা আদায় করবেন। সঠিক মনে থাকলে অনুমানের উপর ভিত্তি করে কাযা কাফফারা আদায় করবেন। এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। 

(২) অনুমান করে যত নামায কাযা হয়েছে সবগুলোর কাযা আদায় করবেন। 

(৩) মেয়েদের জন্য সকল প্রকার কালার পরিধান করা জায়েয। তবে পর পুরুষের সামনে আকর্ষণীয় পোষাক পরিধান করে যাওয়া যাবে না। 
(৪)কালো ছাড়া অন্য রং এবং প্রিন্টের বোরকা পড়লে কোনো গোনাহ হবে না। যদি পর পরুষের সামনে যাওয়া না হয়। 
(৫)বিয়ে এবং অন্য কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার বোরকা গুলো যদি ঠিলেঠালা কিন্তু মোটামুটি  কারুকার্য  সম্পন্ন হয় ,তাহলে কোনো গোনাহ হবে না যদি সেগুলো পরিধান করে পর পুরুষের সামনে যাওয়া না হয়। 

(৬)স্বামী,ভাই, বাবা ওনাদের সামনে থাকার সময় ও কি মাথায় কাপড়  দেওয়া আবশ্যক কেননা মাথা সতরের অন্তর্ভুক্ত । তবে ফিতনার আশংখা না থাকলে জামার হাতা কনুই পর্ন্ত খোলা রাখা যেতে পারবে। 

মাহরামে আবদী তথা নিজ ভাই বা বোনের ছেলের সামনে ফিৎনার আশঙ্কা না থাকলে বুকের উপরি অংশ,হাত ও বাহুদ্বয় খোলা রাখা জায়েয রয়েছে।তবে ব্রেসিয়ার বা হাতকাটা গেঞ্জি -যা সাধারণত যৌনাবেদনময়ী হয়ে থাকে- এগুলো পড়ে মাহরাম পুরুষের সামনে যাওয়া যাবে না।কেননা এগুলোকে ফিৎনার জন্য তৈরীই করা হয়েছে।মাহরাম মহিলার শরীরের কোন অঙ্গ কতটুকু পর্যন্ত দেখা বৈধ হয়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1493

(৭) আপনার বিবরণমত স্বামীর অনুমতি নিয়ে পূর্ণ পর্দার সাথে উক্ত মেয়ের জন্য চাকুরী করা জায়েয হবে ।

(৮) হাত মোজা পা মোজা গায়রে মাহরামের সামনে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে কোনো শীতিলতা গ্রহণযোগ্য হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (581,910 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...