বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময় তার সামনে ইসলাম পেশ করলেন,আবু তালিব অস্বীকার করলেন,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,
ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﻷَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮَﻥَّ ﻟَﻚَ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃُﻧْﻪَ ﻋَﻨْﻪُ . ﻓَﻨَﺰَﻟَﺖْ : ( ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻠﻨَّﺒِﻲِّ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍ ﻟِﻠْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﺃُﻭﻟِﻲ ﻗُﺮْﺑَﻰ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢِ ) ﻭَﻧَﺰَﻟَﺖْ : ( ﺇِﻧَّﻚَ ﻻ ﺗَﻬْﺪِﻱ ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺒَﺒْﺖَ )
হে চাচা আমি অবশ্যই তোমার জন্য আল্লাহর নিকট মাগফিরাত কামনা করবো যতক্ষণ না আমাকে বাধা দেওয়া হবে।তখনই সূরা তাওবার ১১৩ নাম্বার আয়াত আয়াত এবং সূরা আল-কাসাসের ৫৬নং আয়াত নাযিল হয়।(সহীহ বুখারী-৩৮৮৪)
হযরত আবু মুসা আশ'আরী রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩُ ﻳَﺘَﻌَﺎﻃَﺴُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﺮْﺟُﻮﻥَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻟَﻬُﻢْ ﻳَﺮْﺣَﻤُﻜُﻢْ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ( ﻳَﻬْﺪِﻳﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﻠِﺢُ ﺑَﺎﻟَﻜُﻢْ )
ইহুদিরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে ইচ্ছা করে হাঁচি দিতো,যাতেকরে রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের হাঁচির জবাবে 'ইয়ারহামুকাল্লাহ'(আল্লাহ তোমাকে রহম করুক) বলে তাদেরকে দু'আ দেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের হাঁচির জবাবে 'ইয়াহদিকুমুল্লাহ ওয়া য়ুসলিহ বালাকুম'(আল্লাহ তোমাদেরকে হেদায়ত দান করুক,তোমাদের চিন্তা চেতনাকে সুস্থ করুক) বলতেন।(সুনানে আবু-দাউদ-৫০৩৮,সুনানে তিরমিযি-২৭৩৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি অমুসলিম শিক্ষিকার জন্য দু'আ করতে পারবেন না।হ্যা,আপনি পূর্বে যে বদ দু'আ করেছিলেন,সেটা ফিরিয়ে নিয়ে আসার দু'আ করতে পারবেন। এই যৎসামান্য জিনিষের জন্য তাকে বদ দু'আ করা আপনার জন্য উচিৎ হয়নি।হয়তো সে আপনার লেখাপড়ার উন্নতির জন্য আপনাকে ভালোমন্দ কিছু বলেছে।তাছাড়া
আপনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।এখন আবার তাকে বদ দু'আ করা আপনার জন্য উচিৎ হবে না।