আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (66 points)
আমাকে আমার স্কুলের এক শিক্ষিকা কিছু ভুলের জন্য খুব বকা দিয়েছিলেন ও পরবর্তী যত দিন স্কুলে ছিলাম (তখন ক্লাস টেনে পড়তাম তাই সময়টা ৬-৭ মাস) ততদিন অনেক বকাঝকা ও অপমান করতেন। এমনকি জুনিয়রদের সামনে উক্ত ভুলের জন্য বলেছিলেন যে থাপ্পড় মেরে দাঁত ফেলে দিবেন। স্কুলের শেষ দিন উনি আমাকে জড়িয়েও ধরেছিলেন (আমিই ওনাকে ধরে ছবি তুলেছিলাম, দ্বীনের বুঝ আসার পর ফেসবুক থেকে বেশিরভাগ ছবির মত ঐ ছবিও ডিলিট করেছিলাম) কিন্তু মাফ চাননি কখনো এমনকি নিজের দোষও স্বীকার করেননি। তার করা অপমানগুলো এখনো কানে বাজে, এমনকি আমি স্বপ্নেও তার বকা শুনি।
এখন গতকাল রাতে ঘুম আসছিল না, গভীর রাতে আল্লাহর কাছে দুয়া করার কথা ভাবলাম। ঐ শিক্ষিকা অমুসলিম ছিলেন, তাই তার জন্য বদদোয়া করেছিলাম। এরকম কাজ কোন মুসলিম শিক্ষক করলে হয়ত তার হিদায়াতের জন্য দুয়া করতাম। আমি অনেকবার মনে মনে ঐ শিক্ষিকাকে ক্ষমা করেছি, তাও কালকে পরকালে ওনার শাস্তি কামনা করেছি।
এখন কথা হচ্ছে আমি যে বদদোয়া করলাম এজন্য ফেরেশতারা আবার একই দুয়া আমার জন্য করবে না তো? ক্ষমা করে দেওয়ার পরেও কি আমার তাকে অভিশাপ দেওয়া ঠিক হয়েছে? ইসলাম কি বলে এই ব্যাপারে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/901 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময় তার সামনে ইসলাম পেশ করলেন,আবু তালিব অস্বীকার করলেন,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,
ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﻷَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮَﻥَّ ﻟَﻚَ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃُﻧْﻪَ ﻋَﻨْﻪُ . ﻓَﻨَﺰَﻟَﺖْ : ( ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻠﻨَّﺒِﻲِّ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍ ﻟِﻠْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﺃُﻭﻟِﻲ ﻗُﺮْﺑَﻰ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢِ ) ﻭَﻧَﺰَﻟَﺖْ : ( ﺇِﻧَّﻚَ ﻻ ﺗَﻬْﺪِﻱ ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺒَﺒْﺖَ )
হে চাচা আমি অবশ্যই তোমার জন্য আল্লাহর নিকট মাগফিরাত কামনা করবো যতক্ষণ না আমাকে বাধা দেওয়া হবে।তখনই সূরা তাওবার ১১৩ নাম্বার আয়াত আয়াত এবং সূরা আল-কাসাসের ৫৬নং আয়াত নাযিল হয়।(সহীহ বুখারী-৩৮৮৪)

হযরত আবু মুসা আশ'আরী রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩُ ﻳَﺘَﻌَﺎﻃَﺴُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﺮْﺟُﻮﻥَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻟَﻬُﻢْ ﻳَﺮْﺣَﻤُﻜُﻢْ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ( ﻳَﻬْﺪِﻳﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﻠِﺢُ ﺑَﺎﻟَﻜُﻢْ )
ইহুদিরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে ইচ্ছা করে হাঁচি দিতো,যাতেকরে রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের হাঁচির জবাবে 'ইয়ারহামুকাল্লাহ'(আল্লাহ তোমাকে রহম করুক) বলে তাদেরকে দু'আ দেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের হাঁচির জবাবে 'ইয়াহদিকুমুল্লাহ ওয়া য়ুসলিহ বালাকুম'(আল্লাহ তোমাদেরকে হেদায়ত দান করুক,তোমাদের চিন্তা চেতনাকে সুস্থ করুক) বলতেন।(সুনানে আবু-দাউদ-৫০৩৮,সুনানে তিরমিযি-২৭৩৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি অমুসলিম শিক্ষিকার জন্য দু'আ করতে পারবেন না।হ্যা,আপনি পূর্বে যে বদ দু'আ করেছিলেন,সেটা ফিরিয়ে নিয়ে আসার দু'আ করতে পারবেন। এই যৎসামান্য জিনিষের জন্য তাকে বদ দু'আ করা আপনার জন্য উচিৎ হয়নি।হয়তো সে আপনার লেখাপড়ার উন্নতির জন্য আপনাকে ভালোমন্দ কিছু বলেছে।তাছাড়া
আপনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।এখন আবার তাকে বদ দু'আ করা আপনার জন্য উচিৎ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...