ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)অাহলে কিতাব দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইহুদি এবং খৃষ্টান।
প্রকৃত আহলে কিতাব বর্তমানেও আছে।তবে তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম।নামকা ওয়াস্তে আহলে কিতাবেরই সংখ্যাই বেশী।
ফুকাহায়ে কেরামদের সসর্বসম্মতিক্রমে বলেছেন যে, মুসলমানদের জন্য অাহলে কিতাব মহিলাদেরকে বিয়ে করা মাকরুহের সাথে জায়েয।
মুসলমান মহিলার জন্য আহলে কিতাব পুরুষদের সাথে বিবাহ কি জায়েয?
এ সম্পর্কে আলোচনা হল,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلاَ تَنكِحُواْ الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَلأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلاَ تُنكِحُواْ الْمُشِرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُواْ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُوْلَـئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَاللّهُ يَدْعُوَ إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।(সূরা বাকারা-২২১)
উপরোক্ত আয়াত প্রমাণ করে যে,মুসলমান মহিলার জন্য আহলে কিতাব পুরুষকে বিয়ে করা হারাম।এতে মুফাস্সিরীনে কেরামের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই।অমুসলিম কারো সাথে মুসলমান মহিলার বিয়ে জায়েয নয়,চায় হিন্দু হোক বা ইহুদী হোক কিংবা খৃষ্টান হোক।
(৩)অমুসলিম স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো একজন মুসলমান হলে,অপরজনের সামনে সর্বমোট তিনবার ইসলাম পেশ করা হবে।যদি সে ইসলামকে কবুল করে নেয়,তাহলে বিবাহ বহাল থাকবে।কিন্তু যদি অপরজন ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়,তাহলে তাদের মধ্যকার বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়া হবে।
(৪)সম্পদ যার তিনি যে ধর্মের অনুসারী হবেন,তার ধর্মানুসারে সম্পদ বন্টন হবে।জেনে রাখা ভালো যে,মুসলমান থেকে কোনো কাফির কখনো কোনো সম্পদ পাবে না।