আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

ইমাম জামাতে সালাত আদায়ের সময় প্রতিটা রুকনে যাওয়ার সময় তাকবীর গুলো উঁচু স্বরে দেয়া নিয়ম(সুন্নাহ)।যদি তাকবীর গুলোর আওয়াজ বলা অবস্তায় আওয়াজ একটু নিচু হয়ে যায় যার জন্য মুক্তাদি শুনতে পারেনা এবং বুঝতে পারেনা।
ধরেন ইমাম আল্লহু আকবার বলার সময় মুক্তাদি আল্লাহু আকবার এর শেষের আকবারের (বার)
শুনতে পাইলোনা এতে কি সালাত ভেংগে যাবে?
আর ইমাম সালাম ফিরানোর সময় যখন বাম দিকে সালাম ফিরায় তখন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ বলার সময় আসসালামু পর্যন্ত মুক্তাদি স্পষ্ট শুনসে কিন্তু বাকিটা ইমামের আওয়াজ নিচু বা কম হয়ে যাওয়ার কারণে মুক্তাদি শুনেনি কিন্তু আওয়াজ করেই পড়তাসিলো ইমাম শুধু শেষে দিয়ে আওয়াজ টা আস্তে হয়ে যাওয়ার কারণে মুক্তাদি শুনেনাই। কিন্তু ইমাম সালাম পুরোটাই বলসে।
এতে কি ইমামের সালাত ফাসিদ হয়ে গেছে?পুনরায় দোহড়াতে হবে?দোহড়াতে হলেও মুক্তাদির কি হবে?মুক্তাদি কিভাবে দোহড়াবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযে তাকবীর বলা সুন্নত। ইমামের জন্য উচ্ছস্বরে বলা সুন্নত। হ্যা, মুক্তাদির জন্য ইমামের অনুসরণ ওয়াজিব। এ অনুসরণ তাকবীর শুনে করা যায়, বা ইমামের নকল ও হরকত তথা নড়াচড়া অনুধাবন করেও করা যায়। সুতরাং ইমামের তাকবীরের আওয়াজ না শুনা গেলে ইমাম মুক্তাদি কারো নামায ফাসিদ হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসতে পারেনা। ইমাম সাহেবের নামাযও হবে। এবং মুক্তাদিরও নামায হবে । এতে কোনো সন্দেহ নাই। 

https://www.ifatwa.info/3923 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, মুক্তাদি ইমামের অনুসরণ কিভাবে এবং কোন পদ্ধতিতে করবে?
والحاصل أن المتابعة في ذاتها ثلاثة أنواع: مقارنة لفعل الإمام مثل أن يقارن إحرامه لإحرام إمامه وركوعه لركوعه وسلامه لسلامه، ويدخل فيها ما لو ركع قبل إمامه ودام حتى أدركه إمامه فيه. ومعاقبة لابتداء فعل إمامه مع المشاركة في باقيه. ومتراخية عنه، فمطلق المتابعة الشامل لهذه الأنواع الثلاثة يكون فرضا في الفرض، وواجبا في الواجب، وسنة في السنة عند عدم المعارض أو عدم لزوم المخالفة كما قدمناه.
মোটকথাঃইমাম সাহেবের অনুসরণ তিনভাবে হতে পারে।(১)ইমাম সাহেবের সাথে সাথেই রুকুন পরিবর্তন করা।(২) ইমাম সাহেবের যৎসামান্য পর রুকুন পরিবর্তন করা।(৩)ইমাম সাহেবের এক রুকুন থেকে পরিপূর্ণরূপে অন্য রুকুনে চলে যাওয়ার পর মুক্তাদির রুকুন পরিবর্তন করা।এই তিন পদ্ধতির সবকটিরই অনুমোদন রয়েছে।রুকুন ফরয হলে ইমাম সাহেবের অনুসরণ করে রুকুন পরিবর্তন করা ফরয।ওয়াজিব হলে ওয়াজিব।এবং সুন্নত হলে সুন্নত।তবে যে সমস্ত স্থানে ইমামের অনুসরণ না করার কথা বর্ণিত রয়েছে,সে গুলো ব্যতীত এ বিধান প্রযোজ্য হবে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪৭১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 2,748 views
0 votes
1 answer 237 views
...